মুত্রনালিতে পিএইচের নির্ধারিত মাত্রা কত হওয়া উচিত, কখন সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে? ফাইল চিত্র।
মূত্রনালিতে সংক্রমণের সমস্যায় ভোগেন বহু মহিলাই। এর অন্যতম বড় কারণ মূত্রনালিতে পিএইচের সমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া। এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকেরা। হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ইউরোলজিস্ট দীপ্তি সুরেখা জানাচ্ছেন, শরীরের ‘পিএইচ ব্যালান্স’ বলতে মূলত রক্তের ‘পোটেনশিয়াল অব হাইড্রোজেন ব্যালান্স’ বোঝায়। এটি সুস্থ থাকার অন্যতম শর্ত। যদি এর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, তখনই নানাবিধ সমস্যা দেখা দেবে। মূত্রনালির সংক্রমণ বা ‘ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন’ তার মধ্যে একটি।
মূত্রনালিতে পিএইচ-এর মাত্রা কত হবে তার একটি নির্দিষ্ট মাপকাঠি আছে। চিকিৎসকের কথায়, মূত্রনালির ‘পিএইচ ব্যালান্স’ হওয়া উচিত ৪.৫ থেকে ৮.০-এর মধ্যে। তবে রোজের খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপন পদ্ধতির উপরেও তার কমা-বাড়া নির্ভর করে। যদি পিএইচ-এর মান এই মাত্রার চেয়ে খুব কম বা বেশি হয়ে যায়, তখনই সমস্যা তৈরি হবে।
সাধারণত দেখা যায়, শরীরে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ফলে এই তারতম্য ঘটতে পারে। ব্যাক্টেরিয়া বা জীবাণুগুলি শরীরে টক্সিক পদার্থ তৈরি করে। ফলে রক্তে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের ভারসাম্যের ব্যাঘাত ঘটে। ফলে বেশির ভাগ সময়েই পিএইচ কমে যায়। কখনও কখনও বেড়েও যায়। তখন কিডনি ও মূত্রথলির কাজে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ঠান্ডার সময়ে জল কম খেলে প্রস্রাবের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি কারণে সংক্রমণ হতে পারে। খুব আঁটসাঁট অন্তর্বাস পরলে, অপরিচ্ছন্ন থাকলে, দীর্ঘ ক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখলে, মূত্রনালির কোনও গঠনগত ত্রুটি থাকলেও বার বার প্রস্রাবের সংক্রমণ হতে পারে।
মূত্রনালিতে পিএইচ-এর ভারসাম্য বজায় রাখতে কী করণীয়?
পরিমিত জল খান
দিনে অন্তত আড়াই থেকে তিন লিটার জল খাওয়া উচিত। শরীরে যাতে জলের ঘাটতি না হয়, সে বিষয়ে নজর রাখুন। প্রস্রাবে হলুদ ভাব দেখা গেলেই দেরি না করে পর্যাপ্ত জল খান। সেই সঙ্গে ডিটক্স পানীয় খেলেও সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। ছোট ছোট ফলের টুকরো ভিজিয়ে রেখে সেই জল খেতে পারেন, অথবা মৌরি-মেথি ভেজানো জলও উপকারী।
ডায়েটে রাখুন ভিটামিন সি
রোজের পাতে রাখুন সবুজ শাকসব্জি, ভিটামিন সি আছে এমন ফল। ভিটামিন সি ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া নাশ করতে পারে। মুসাম্বি, কমলালেবু, কিউয়ি, ব্রকোলি, পেঁপে, স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে।
ঘন ঘন চা-কফি নয়
সারা দিনে ঘন ঘন চা-কফি বা ঠান্ডা পানীয় খেলে শরীরে পিএইচের ভারসাম্য বিগড়ে যাবে। বদলে গ্রিন টি বা ভেষজ চা খেতে পারেন। অ্যালকোহলের পরিমাণেও রাশ টানতে হবে।
প্রোবায়োটিক খান
যে কোনও রকম সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারে প্রোবায়োটিক। প্রোবায়োটিকের অন্যতম উৎস হল দই। তা ছাড়া পনিরেও প্রোবায়োটিক থাকে। ইডলি, দোসা— এই খাবারগুলি তৈরির সময় চাল এবং ডাল গেঁজিয়ে নেওয়া হয়। তার ফলে এতেও প্রোবায়োটিক পাওয়া যায়। ইডলি, দোসা প্রাতরাশ কিংবা সান্ধ্য জলখাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy