নতুন নতুন জামা কাপড় পরার শখে প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে? ছবি: সংগৃহীত।
প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রে যেতে হলে বেশ কিছু জামাকাপড় প্রয়োজন পড়ে। কারও আবার শখ থাকে নিত্যনতুন পোশাক পরার। কেউ প্রয়োজনে জামাকাপড় কেনেন, কেউ আবার নেহাত শখেই। কারও যুক্তি, কয়েক বার পরার পর সেই পোশাক পরতে মন চায় না। কেউ চান সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন ফ্যাশন। এ দিকে, পোশাক কিনতে গিয়ে পকেট গড়ের মাঠ হলে বেশ মুশকিল। তার চেয়ে বরং কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করলে, নতুন নতুন পোশাকও পরা যাবে, আবার খরচও বাঁচবে।
পোশাকের তালিকা
প্রথমে দেখে নিন প্যান্ট, কুর্তি, টি-শার্ট বা পছন্দের অন্যান্য পোশাক কতগুলি এবং কী রয়েছে? যে ধরনের জামাকাপড় কম রয়েছে, বেছে বেছে সেগুলি কিনুন। প্যান্টের সঙ্গে নতুন কুর্তি, বা শার্ট পরলেও পোশাকে একঘেয়েমি থাকবে না। এক বা দু'মাস পছন্দের কুর্তি, টি-শার্ট কিনতে পারেন। পরের দু'মাস শুধুই প্যান্ট, পালাজ়ো, স্কার্ট, র্যাপার জাতীয় কিছু কিনতে পারেন। যাতে বিভিন্ন জিনিস মিলিয়ে মিশিয়ে পরা যায়।
পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে বদলাবদলি
ভাই ও বোন, মা ও বাবার সঙ্গে পোশাক বদলে পরতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যদি মাপে খুব বেশ পার্থক্য না থাকে, বিশেষ অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। মায়ের শাড়ি মেয়েরা পরেন। ঠাকুমা, দিদিমার শাড়িও পরার চল রয়েছে। ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গেও পোশাক আদান-প্রদান করতে পারেন।
নতুন রূপে পুরনো পোশাক
পুরনো জিন্স কেটে নিয়ে হট প্যান্ট বানিয়ে নেওয়া যায়। আবার পুরনো জিন্সকে সুতোর রকমারি কাজে নতুন রূপ দেওয়া যায়। একই ভাবে পুরনো শার্টে ফেব্রিকের কাজ করিয়ে নিতে পারেন, নতুন নকশা আঁকতে পারেন। পুরনো শাড়ির জমির সঙ্গে নতুন কোনও পাড় কেটে ও জুড়েও শাড়িতে অন্য মাত্রা দেওয়া যায়। এতেও নতুন পোশাক পরার শখ মেটে, অথচ খরচ তেমন হয় না।
ছাড় দেখে জিনিস কেনা
অনলাইনে কেনাকাটা হোক বা অফলাইনে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম ছাড় থাকে। সেই সময়টা কাজে লাগিয়ে রকমারি পোশাক কিনে নিতে পারেন। এতে কিছুটা হলেও কম খরচে জিনিস পাওয়া যাবে। টাকা বাঁচবে। স্বাধীনতা দিবস, ভ্যালেন্টাইন্স ডে, চৈত্র সেল বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে পোশাকে বড় রকম ছাড় পাওয়া যায়। সেই সময়টা কাজে লাগাতে পারেন।
সঠিক জায়গার সন্ধান
বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন রকম শাড়ি ও পোশাক পাওয়া যায়। সেখান থেকে কিনে আনলে সস্তা হতে পারে। যেমন ধনেখালি, ফুলিয়ার তাঁত যদি সরাসরি তাঁতিদের থেকে কেনা যায়, তা হলে খরচ বেশ কিছুটা কম হবে। পোশাক তৈরির কারখানায় সংলগ্ন দোকানও থাকে। সেখান থেকে কিনলেও দাম খানিকটা কম হয়। এ ভাবেও কিছুটা সাশ্রয় করা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy