চিনির বিকল্প কি গুড়? —ফাইল চিত্র
মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করলেই সঙ্গে সঙ্গে মাথার ভিতরে উঁকি দেয় নানা প্রশ্ন। কেউ ভাবেন, সুগার হবে না তো? কারও ভয়, চিনি খেলে বেড়ে যাবে ওজন।
চা, কফির কাপে যদি চিনি বাদও দেওয়া হয়, তবুও রোজকার বহু খাবারের মধ্যেই গাদা গাদা চিনি থাকে। বিশেষ করে উৎসবের মরসুমে কেক, পায়েস, আইসক্রিম কিংবা প্রিয় সন্দেশের মাধ্যমে রোজই বেশ খানিকটা চিনি খাওয়া হয়ে যায়।
আমাদের দেশে চিনি তৈরি হয় আখ থেকে। সাধারণ ভাবে সেটা কিন্তু খুব খারাপ নয়। কিন্তু বেশি চিনি খেলে ডায়াবিটিস ও স্থূলতার সমস্যায় ভোগা রোগীদের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এখন তাই অনেকেই চিনির বিকল্প হিসাবে গুড় কিংবা মধু খান। বাড়িতে মিষ্টি কিছু তৈরি করতে গেলেও অনেকে সময় চিনি না গুড়, কী দিয়ে সেটি তৈরি করবেন, তা নিয়ে তৈরি হয় দ্বন্দ্ব।
১ চা চামচ চিনিতে কমবেশি ৪৫ ক্যালোরি থাকে। সমপরিমাণ গুড়েও ক্যালোরির পরিমাণ এক। কাজেই ক্যালোরির দিক থেকে ভাবলে অন্তত গুড় আর চিনির বিশেষ কোনও ফারাক নেই। তবে গুড়ের এমন কিছু গুণ আছে, যা বিশেষ ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে। যেমন, গুড়ে আয়রনের পরিমাণ বেশি। তাই অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতায় ভুগলে গুড় বেশ উপকারী। কিন্তু তাই বলে সব খাবারে চিনির বদলে গুড় ঢালার কোনও মানে হয় না।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রাকৃতিক ভাবে চিনির বিকল্প যদি ভাবতেই হয়, তবে গুড়ের থেকে কিছুটা ভাল একটি বিকল্প মজুত রয়েছে হাতের কাছেই— মধু। ক্যালোরির দিক থেকে প্রায় একই হলেও মধুর গঠন কিছুটা আলাদা। তাই চিনির চেয়ে মধু অনেক ধীর গতিতে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। তা ছাড়া মধুতে চিনির তুলনায় খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও বেশি পরিমাণে থাকে।
তবে ডায়াবিটিস কিংবা স্থূলতার সমস্যা থাকলে এ সবের কোনওটিই খুব একটা উপযোগী নয়। তাই কী খাবেন, কতটা খাবেন, তা নিশ্চিত করে জানতে পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসকদের থেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy