পিঠের বা কোমরের ব্যথা খুব ভোগালে তখন হালকা ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এ বার কী ধরনের ব্যায়াম করলে যন্ত্রণা কমবে, তা বুঝতে পারেন না অনেকেই। আবার ব্যথার মধ্যে শরীরে মোচড় দিতে গেলেই যেন মনে হয় কেউ চাবুক কষাচ্ছে। এমন অবস্থা হলে যে ব্যায়ামটি করা যেতে পারে সেটি হল, সুপ্ত মৎস্যেন্দ্রাসন। যোগাসনের এমন এক পদ্ধতি, যা সকলের পক্ষেই করা সম্ভব। যাঁরা কোনও দিন যোগাসন করেননি, তাঁরাও এই আসনটি অভ্যাস করতে পারেন।
সুপ্ত মৎস্যেন্দ্রাসন যোগাসনের সহজ একটি পদ্ধতি। মূলত মেরুদণ্ডের ব্যায়াম। স্নায়ুর রোগ থাকলেও এই ব্যায়ামটি করা যাবে। সুপ্ত মৎস্যেন্দ্রাসন অভ্যাস করলে এক দিকে যেমন পেশির নমনীয়তা বাড়বে, তেমনই অন্য দিকে ব্যথা-বেদনাও অনেক কমে যাবে।
সুপ্ত মৎস্যেন্দ্রাসন করার পদ্ধতি
১) প্রথমে শবাসনে শুয়ে পড়ুন, হাত দু’পাশে টানটান থাকবে।
২) এ বার ডান পায়ের হাঁটু ভেঙে, বাঁ পা মাটির সঙ্গে টানটান করে রাখুন।
৩) বাঁ হাত দিয়ে ডান হাঁটুটিকে ধরে আপনার বাঁ দিকে নিয়ে যান। অর্থাৎ, শরীরের বাঁ দিকে মোচড় দিন।
৪) শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।
৫) এই ভঙ্গিমায় ১ থেকে ১০ গুনুন।
৬) এর পর আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসুন এবং একই ভাবে অন্য পায়েও করুন।
আরও পড়ুন:
কেন করবেন?
নিয়মিত অভ্যাসে মেরুদণ্ড নমনীয় হয় ও পেশির শক্তি বাড়ে।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
ব্যথা-বেদনা অনেক কমে যায়।
হাঁটুর ব্যায়ামও হয়, পায়ে ব্যথা থাকলে এই আসন অভ্যাসে তা কমে যাবে।
ফুসফুসের জোর বাড়বে, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার ঠিক থাকবে।
কারা করবেন না?
হাঁটু, কোমর বা মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচার হলে আসনটি না করাই ভাল।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আসনটি করবেন না।
হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার হলে এই আসন না করাই ভাল।
আপনার যদি কোমর, হাঁটু বা মেরুদণ্ডের কোনও সমস্যা থাকে, তা হলে এই আসনটি করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আসনটি করার সময় কোনও রকম চাপ বা ব্যথা অনুভব হলে, তা বন্ধ করে দিন।