শীত দোরগোড়ায়। ঠান্ডার মধ্যে লেপের ওম ছেড়ে রোজ জিমে যেতে মোটেই ভাল লাগে না। তা ছাড়া অফিসে যদি নানা রকম শিফ্‌ট থাকে, তা হলে জিমে যাওয়ার সময় তেমন পাওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে যদি বাড়িতেই কসরত করে ওজন কমাবেন বলে ভাবেন, তা হলে কয়েকটি যন্ত্রপাতি কিনে রাখা ভাল। ওজন ঠিকমতো কমছে কি না, কতটুকু শারীরিক কসরত আপনি করতে পারলেন, তাতে কতটা ক্যালোরি ঝরল ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়ে হিসেব রাখতে হলে কয়েকটি জরুরি জিনিস কিনে রাখতেই হবে।

জিমের মতো কসরত বাড়িতেই করতে হলে কী কী যন্ত্রপাতি লাগবে?

ডাম্বল

বাড়িতে দু’সেট ডাম্বল কিনুন। প্রাথমিক ভাবে মহিলাদের জন্য দু’কিলোগ্রাম ওজনের দু’টি, পুরুষদের জন্য পাঁচ কিলোগ্রাম ওজনের দু’টি ডাম্বল। ওজন তুলে ব্যায়াম করতে হলে ডাম্বলের চেয়ে ভাল কিছু হয় না। অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ডাম্বল তুলে ব্যায়াম করতে পারলে খুব তাড়াতাড়ি মেদ ঝরবে।

স্কিপিং রোপ

কিনে নিন স্কিপিং রোপ। লাফদড়ি শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি শরীরচর্চা। ক্যালোরি ঝরাতে এর কোনও বিকল্প নেই। জিমের মতো বাড়িতে ট্রেডমিল বা সাইকেল রাখা সকলের পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই লাফদড়ি কিনে নিয়মিত অভ্যাস করতে পারলে সারা শরীরের ব্যায়াম হবে। রোজ দড়ি নিয়ে লাফালে হাড় এবং পেশি মজবুত হয়। হাড়ের ক্ষয় রোধ করে এই ধরনের শারীরিক কসরত।

কেটলবেল

একটি নিরেট লোহার বল, অনেকটা কামানের গোলার মতো দেখতে, যার উপরের দিকে ধরার জন্য একটি হাতল থাকে। দু’হাতে এই হাতলটিকে ধরেই বলটিকে ইচ্ছেমতো ঘোরানো যায়। যাঁরা বাড়িতেই কার্ডিয়ো এক্সারসাইজ় করতে চাইছেন, তাঁরা কিনে ফেলুন কেটলবেল। ভারতীয় মেয়েদের ক্ষেত্রে ৭.৫ থেকে ১২.৫ কেজি গড় ওজন তোলাই যথেষ্ট। হাত পাকানোর পর ১৫ কেজি অবধিও তোলা যেতে পারে। তবে প্রশিক্ষকের থেকে শিখে নিয়ে তবেই কেটলবেল নিয়ে শরীরচর্চা করবেন।

স্মার্ট ওয়াচ

দিনে কত কদম হাঁটছেন, হার্টের অবস্থা কেমন, হৃৎস্পন্দনের ওঠানামা, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা সবই মাপা যায় এই যন্ত্রে। রাস্তাঘাটে এখন বেশির ভাগেরই হাতে দেখবেন স্মার্টওয়াচ। এই ঘড়ি থাকলে দিনে কতটা শারীরিক কসরত করছেন তার হিসেব রাখতে পারবেন। আপনার ফোনের অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত করা যাবে, এমন স্মার্টওয়াচই কিনবেন।

রেজ়িস্ট্যান্স ব্যান্ড

জিমের মতো বাড়িতেও কিনে রাখতে পারেন রেজ়িস্ট্যান্স ব্যান্ড। যাঁরা একেবারেই প্রথম-প্রথম শারীরচর্চা শুরু করেছেন, তাঁরা ব্যবহার করার আগে প্রশিক্ষকের কাছ থেকে হাতেকলমে শিখে নেবেন। রেজ়িস্ট্যান্স ব্যান্ড নানা রকমের পাওয়া যায়। নিজের ব্যবহারের ক্ষমতা বুঝে কিনবেন। হাতল দেওয়া ব্যান্ডও কিনতে পারেন, এতে অনেক বেশি সুবিধা হবে।