অ্যাভোকাডোর দেশি বিকল্প কোন ফল? ছবি: শাটারস্টক।
ভুঁড়ি বাড়লেই এখন অনেকেই স্বাস্থ্যসচেতন হয়ে পড়েন। জিমে যান বা না-ই যান, আগেই জিমের পোশাক, জুতো কিনতে হবে। শুধু তা-ই নয়, ডায়েট কবে থেকে শুরু করবেন তা ঠিক না করলেও আগেই দামি দামি খাবার জিনিস এনে ফ্রিজ ভরতে শুরু করেন। অনেকেরই ধারণা, ডায়েট করলেই বুঝি কিছু খাবার খেতেই হবে, তা যতই দামি হোক না কেন, রোগা হওয়ার জন্য ভীষণ জরুরি। আসলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া নেটমাধ্যমের বিভিন্ন রেসিপি দেখে ডায়েট শুরু করেন বলেই হয়তো এমন ধারণার জন্ম হয়। এই ধারণা কিন্তু ভুল।
নেটমাধ্যমে নানা খ্যাতনামীর ডায়েট রয়েছে। যত স্বাস্থ্যকর বিদেশি খাবার, তত তার দাম। ফলের দামও আকাশছোঁয়া। সব্জির দাম যেন রোজই বাড়ছে। ড্রাই ফ্রুট তো অনেকের কাছেই ধরাছোঁয়ার বাইরে। তা হলে চাইলেও কি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া সম্ভব নয়? এই চিন্তাই তাড়া করে বেড়ায় আমবাঙালিকে। তবে পুষ্টিবিদ ভরসা দিচ্ছেন, তেমনটা একেবারেই নয়।
সম্প্রতি পুষ্টিবিদ দীপশিখা জৈন সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাগ করে নিয়েছেন, যেখানে তিনি বলেছেন দামি বিদেশি শাকসব্জি ও খাবারের স্বাস্থ্যকর দেশি বিকল্প কী কী হতে পারে।
কেইলেরর বিকল্প বাঁধাকপি: নেটমাধ্যমে অনেক স্বাস্থ্যকর স্যালাড রেসিপিতে কেইলের ব্যবহার হয়। এই পাতা খেতে মন্দ লাগে না। তবে সাধারণ বাজারে এই পাতার দেখা পাওয়া যায় না। অনেক বাজারে দেখা মিললেও দাম থাকে আকাশছোঁয়া। পুষ্টিবিদের মতে স্যালাডে কেইলের বদলে বাঁধাকপি খেতে পারেন। কেইল ও বাঁধাকপি ‘ক্রুসিফেরাস’ গোত্রের সব্জি, এদের পুষ্টিগুণও একই রকম।
অ্যাভোকাডোর বিকল্প নারকেল: স্বাদ তেমন না থাকলেও ডায়েট নিয়ে যাঁরা সচেতন তাঁদের কাছে অ্যাভোকাডো বেশ জনপ্রিয়। যাঁরা নিয়মিত জিমে যান তাঁদের অনেকেরই ডায়েটে অ্যাভোকাডো স্যালাড কিংবা স্মুদি থাকে। তবে একটি কলকাতার বাজারে ১টি অ্যাভোকাডোর দাম হয় প্রায় ৩০০-৩৫০ টাকা। অ্যাভোকাডোর বিকল্প হিসাবে কিন্তু ডায়েটে নারকেলও রাখতে পারেন। এই দুই ফলেই থাকে ফ্যাট, পটাশিয়াম আর ভরপুর মাত্রায় ফাইবার।
অলিভ অয়েলের বদলে ঘি: স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই তা রাঁধতে হবে অলিভ অয়েলে, অনেকেই এই ধারণায় বিশ্বাসী। তবে অলিভ অয়েলের বদলে পরিমিত মাত্রায় ঘি ব্যবহার করেও কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাবার বানানো যায়। ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল আর ঘি-তে ক্যালরির মাত্রা প্রায় সমান। ঘিয়ের বিশেষ গন্ধ খাবারে আলাদা মাত্রা এনে দেয়, আর স্বাদও বেশি। পেটের জন্য অলিভ অয়েলের মতোই ঘি-ও স্বাস্থ্যকর।
কিনুয়ার বদলে জোয়ার: উচ্চ প্রোটিনযুক্ত কিনুয়ার স্বাদ অনেকেরই পছন্দ। স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন এমন অনেকেই কিনুয়ার স্যালাড কিংবা খিচুড়ি বানিয়ে খান। তবে এর দাম কিন্তু বেশ চড়া। কিনুয়ার দেশি বিকল্প কিন্তু হতেই পারে জোয়ার। কিনুয়া আর জোয়ারে প্রোটিনের মাত্রা প্রায় সমান। তবে কিনুয়ার তুলনায় জোয়ারে ফাইবাবের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ।
ব্লুবেরির বদলে জাম: অনেকেই রোজের ডায়েটে ব্লুবেরি রাখেন। ওট্সের সঙ্গে খেতে কিংবা স্মুদির সঙ্গে খেতে বেশ লাগে। তবে এই ফলেরও দাম আকাশছোঁয়া। গরমের মরসুমে ব্লুবেরির বদলে জাম রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়। এটি ব্লুবেরির মতোই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর, দামও ব্লুবেরির তুলনায় অনেকটাই কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy