—ফাইল চিত্র।
চিনে যে ভাইরাস নিয়ে শোরগোল, সেই হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) ভারতে ধরা পড়তেই প্রশ্ন উঠেছে, আবার কি লকডাউন হবে?
করোনা ভাইরাস এবং তদ্জনিত অতিমারিতে যখন গোটা দেশ মূহ্যমান, তখন লকডাউনের প্রভাব কতটা বিষম হতে পারে, তা হাড়ে হাড়ে বুঝেছিলেন ভারতীয়েরা। এইচএমপিভির খবরে তাই ভারতীয়দের অবস্থা হয়েছে ঘরপোড়া গরুর মতো। চিন, ভাইরাস এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারির ত্রহ্যস্পর্শে ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখে ভয় পাচ্ছে অনেকে। এইচএমপিভির খবর ছড়াতেই তাই সমাজ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে শুরু হয়েছে সম্ভাব্য লকডাউন নিয়ে উদ্বিগ্ন জল্পনা। ফলত এক ধাক্কায় দেশের ট্রেন্ডিং বিষয়বস্তুর তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে ‘লকডাউন’। তবে ওই আতঙ্কে এক কথায় দাঁড়ি টেনে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (আইসিএমআর)। তারা স্পষ্ট বলেছে, ‘‘আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এইএমপিভি কোনও নতুন ভাইরাস নয়। ওই ভাইরাস আগেও ছিল এবং তা এর আগেও এ দেশে ছিল।’’ অর্থাৎ এমন নয়, নতুন কোনও ভাইরাস হঠাৎ ভারতে এসে পৌঁছেছে।
সোমবার বিকেল পর্যন্ত তিন জন রোগীর এইচএমপিভি সংক্রমণের খবর প্রকাশ্যে এসেছে দেশে। তার মধ্যে দু’টি কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে। একটি গুজরাতের অহমদাবাদে। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভয় পেতে শুরু করেছেন ভারতীয়দের একাংশ। যদিও সেই ভয়কে আমল দেয়নি আইসিএমআর। বরং তারা বলছে, ‘‘যাদের এইএমপিভি পাওয়া গিয়েছে, তারা প্রত্যেকেই শিশু। তাদের মধ্যে এক জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। যেটা কেউ বুঝতে পারছেন না, তা হল এইচএমপিভি কোনও নতুন ভাইরাস নয়। ভারতে অনেক আগে থেকেই এর অস্তিত্ব রয়েছে। অন্য দেশেও আছে। এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হলে তা ফুসফুসে সমস্যা তৈরি করতে পারে। কিন্তু আইসিএমআর এবং ইন্টিগ্রেটেড ডিজি়জ় সারভেল্যান্স প্রোগ্রাম কড়া নজর রেখেও দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো কোনও অসুস্থতার খোঁজ পায়নি। ফুসফুসের সমস্যাজনিত অসুস্থতা বেড়েছে, তা-ও দেখা যায়নি। তাই এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ ঘটেনি।’’
একই কথা বলেছেন কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও। তিনি আবার বলছেন, ‘‘এর আগেও ভারতে এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে। ২০০১ সালে ওই ভাইরাস প্রথম আবিষ্কৃত হয়। কিছু মানুষ ওই ভাইরাসের সংক্রমণে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কেউ কম। কিন্তু তা বলে এ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ার মতো কিছু হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy