—প্রতীকী চিত্র।
মাখন খেয়েও ওজন কমানো যায়। ওজন ঝরানোর ডায়েটে পুষ্টিবিদেরা পিনাট বাটার রাখার কথা বলেন। পিনাট বাটারে রয়েছে ট্রিপটোফান নামের উপাদান, যা ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে। পিনাট বাটারে ভরপুর মাত্রায় প্রোটিন ও ফাইবার থাকে, যার ফলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে, অন্য খাবার খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়।
কী ভাবে খেলে উপকার পাবেন সবচেয়ে বেশি?
১) কলার সঙ্গে পিনাট বাটার খেলে আরও ভাল ফল পাওয়া যাবে। কলায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম। তা ট্রিপটোফানের সঙ্গে মিশে আরও তাড়াতাড়ি ওজন কমায়। পিনাট বাটার ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর৷ ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার পরিপাক ক্রিয়ার জন্য ভাল। সকালে জলখাবারে এই খাবার খাওয়া যেতে পারে।
২) প্রাতরাশে ওট্সের সঙ্গেও পিনাট বাটার খেতে পারেন। যাঁরা ওজন ঝরাতে চাইছেন, তাঁদের জন্য ওট্স-দুধ আর পিনাট বাটার খুব ভাল জলখাবার। চাইলে ওট্স, কলা আর পিনাট বাটার দিয়ে স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন।
৩) অফিসে বসে কাজের মাঝে হালকা খিদে পেলে ভাজাভুজি, রোল, চাউমিন না খেয়ে ভরসা রাখতে পারেন পিনাট বাটারেই। আপেলের সঙ্গে খান পিনাট বাটার। বিকেলের হালকা খিদের জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর এই খাবার, সুস্বাদুও বটে।
৪) হোল গ্রেন পাঁউরুটি টোস্টের সঙ্গে পিনাট বাটার খেতে পারেন।
পিনাট বাটার খাওয়ার সময়ে কোন ভুলগুলি করলে চলবে না?
১) ওজন ঝরানোর পরিকল্পনা থাকলে যে পিনাট বাটারে নুন থাকে, তা এড়িয়ে চলাই ভাল। বেশি মাত্রায় নুন শরীরে গেলে শরীরে বেশি মাত্রায় জল জমতে থাকে। ফলে ওজন বেড়ে যায়।
২) পিনাট বাটার খেতে দারুণ সুস্বাদু। তাই অনেকেই প্রাতরাশ থেকে শুরু করে বিকেলের নাস্তা, নানা সময়ে এই মাখন খেয়ে থাকেন। ভাবেন শরীরের মেদ দ্রুত ঝরবে। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। কোনও কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের জন্য ভাল নয়। দিনে এক-দু’চামচের বেশি এই মাখন না খাওয়াই ভাল।
৩) স্বাস্থ্যকর বলে আইসক্রিম বা চকোলেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে পিনাট বাটার খাবেন না। খেতে সুস্বাদু হলেও আখেরে শরীরের ক্ষতি করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy