প্রতীকী ছবি।
করোনাকালে মানসিক উদ্বেগের কথা বারবার উঠে আসছে আলোচনায়। আরও একটি মানসিক অসুখের কথাও এ সময়ে প্রবল ভাবে চর্চিত। তা হল অবসাদ। এই দুই অসুখ এখন প্রায় ঘরে ঘরে দেখা যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সম্প্রতি জানিয়েছে, গোটা বিশ্বে ২৫ কোটির বেশি মানুষ অবসাদে ভোগেন। গোটা বিশ্বে প্রতিবন্ধকতার সবচেয়ে বড় কারণ হিসাবেও এই অসুখের উল্লেখ করেছে ‘হু’। আবার ‘মেন্টাল হেলথ আমেরিকা’ নামক এক বিজ্ঞান পত্রিকা জানিয়েছে, সে দেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের উদ্বেগের সমস্যায় আক্রান্ত। কোনও কোনও রোগীর ক্ষেত্রে উদ্বেগ এবং অবসাদের উপসর্গ মিলে গেলেও সকলের ক্ষেত্রে মোটেও তেমনটা নয়।
তবে এই দুই অসুখের মধ্যে কোনও পার্থক্য আছে কি?
এই অসুখ দু’টি ঘিরে এখন অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত সর্বত্রই। অনেকেই বলে থাকেন, মানুষ মাত্রেই মন খারাপ হয়। এ সব নিয়ে বেশি চিন্তার কিছু নেই। তবে দু’টির কোনও রোগই তেমন সহজ নয়। উদ্বেগজনিত অসুস্থতা থেকে আসতে পারে অবসাদ। আবার অবসাদের কারণে উদ্বিগ্নও হয়ে ওঠেন অনেকে। তবে এই দুই রোগের মধ্যে বিশেষ কিছু তফাত আছে।
ফারাক খুবই সূক্ষ্ম। অবসাদের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে বাঁচার ইচ্ছা কমে যাওয়া, কর্ম ক্ষমতা কমার মতো সমস্যা। খাওয়া-ঘুম, সবের ক্ষেত্রেই লড়াই করতে হয়। নিজের পরিস্থিতি নিয়ে অপরাধবোধ বা লজ্জাও থাকতে পারে অবসাদগ্রস্ত মানুষের।
উদ্বেগ ঠিক উল্টো। অভিষ্যতের ভাবনা ঘিরেই অসুস্থতা। এর পরে কী হতে পারে, তা ঘিরে অতিরিক্ত চিন্তা থাকে উদ্বেগের মধ্যে। তার জেরে কী কী ক্ষতি হতে পারে, সে চিন্তাও উঠে আসে এই অসুখের উপসর্গ হিসাবে। আমেরিকার বেলর কলেজ অব মেডিসিনের বিশেষজ্ঞদের এমনই বক্তব্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy