ছেলেদের শরীরে শুক্রাণু তৈরির প্রক্রিয়া কখনও বন্ধ হয় না। ছবি- প্রতীকী
অনেকের ধারণা, সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষদের বয়স কখনওই বাধা হতে পারে না। কেবল মেয়েদের বয়সই গুরুত্বপূর্ণ। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান কমতে থাকে। ইদানীং দম্পতিদের মধ্যে বেশি বয়সে সন্তানধারণের প্রবণতা বেড়েছে। সত্তরের দশকের পুরুষরা গড়ে ২৯ বছর বয়সে সন্তান নেওয়ার কথা ভাবতেন। এখনকার পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষরা গড়ে প্রায় ৩৪ বছর বয়সে পিতা হওয়ার পরিকল্পনা করছেন। জীবনে সঠিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত না হয়ে অনেকেই সন্তান নিতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষদের ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়স হল পিতা হওয়ার জন্য আদর্শ। তবে এ কথাও ঠিক যে, ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সি পুরুষও সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। গিনেস বুক রেকর্ডসের মতে, ৯২ বছর বয়সি এক পুরুষ সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৪০ বছরের পর পুরুষদের ক্ষেত্রেও সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়।
মহিলাদের ক্ষেত্রে যেমন ঋতুবন্ধের পরে সন্তানধারণের কোনও সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু ছেলেদের শরীরে শুক্রাণু তৈরির প্রক্রিয়া কখনও বন্ধ হয় না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাঁদের মহিলাদের মতো ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’ নেই। পুরুষদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের শুক্রাণুগুলি জেনেটিক মিউটেশনের মধ্য দিয়ে যায়। ফলে শুক্রাণুর ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। পুরুষদের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা প্রভাবিত হয়। শুধু তা-ই নয়, সেই বয়সে যদি তিনি সন্তানের জন্ম দিয়েও ফেলেন, তা হলে শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে শিশুদের স্নায়ুতন্ত্রজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বাড়তি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে জীবনধারায় অনিয়ম পুরুষদের বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, মদ্যপান, মানসিক চাপ, বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, স্থূলতা— পুরুষের বন্ধ্যত্বের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy