যে কোনও রকমের ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি শুকোতে সাহায্য করে তামা। ছবি: সংগৃহীত
জল খাওয়ার সময় আমরা স্টিল কিংবা কাচের গ্লাসই বেশি ব্যবহার করি। অনেকে আবার প্লাস্টিকের বোতলেও জল খান। তবে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, জল খাওয়ার সময় তামার তৈরি পাত্র বা গ্লাস ব্যবহার করাই ভাল। শুনে মনে হতেই পারে জল খেতে গেলে পাত্রে কী এসে যায়? আয়ুর্বেদশাস্ত্র অনুযায়ী, রাত্রিবেলায় তামার জগ বা গ্লাসে জল ঢেকে রেখে দিন। সকালবেলায় খালি পেটে সেই জল খেলেই শরীরের নানান রোগব্যাধি দূর হয়।
ঠিক কী কী উপকার পেতে পারেন?
হজমশক্তি বাড়ায়: তামার পাত্রে জল খেলে হজম শক্তি ভাল হয়। অম্বল কিংবা গ্যাসের সমস্যা থাকলে উপকার পাওয়া যায়। শরীরে থাকা ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াদের নিঃশেষ করতে তামা সাহায্য করে। শরীরে থাকা দূষিত পদার্থও বার করে দিতে তামা দারুণ উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।
মেদ ঝরাতে: শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে তামা। তাই ডায়েট এবং শরীরচর্চার পাশাপাশি তামার পাত্রে রাখা জল খান। অল্প দিনে কমবে শরীরে অতিরিক্ত মেদ।
ক্ষত নিরাময়ে: যে কোনও রকমের ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি শুকোতে সাহায্য করে তামা। তা ছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার। তামার পাত্রে জল খেলে শরীরে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
বয়সের ছাপ দূর করতে: বয়সের ভারে মুখে বলিরেখা দেখা দিয়েছে? তামায় থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। রোজ সকালে খালি পেটে তামার পাত্রে জল খেলে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। এ ছাড়া ত্বকের কালো দাগ-ছোপ দেখা দিলে সেটা কমাতেও সাহায্য করে এই তামা।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে: যাঁরা হার্টের রোগী এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য অব্যর্থ দাওয়াই তামা। এ ছাড়া ক্যানসারের প্রবণতা কমাতেও সাহায্য করে তামা।
বাতের ব্যথা কমায়: বয়স বাড়ামাত্রই শরীরে দেখা দেয় বাতের ব্যথা। সকালে উঠে তামার পাত্রে জল পান করলে এই ব্যথায় উপশম পেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy