তামার বোতলে জল খাওয়া কি নিরাপদ? ছবি: শাটারস্টক
জল খাওয়ার সময়ে আমরা স্টিল কিংবা কাচের গ্লাসই বেশি ব্যবহার করি। অনেকে আবার প্লাস্টিকের বোতলেও জল খান। তবে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, জল খাওয়ার সময়ে তামার তৈরি পাত্র বা গ্লাস ব্যবহার করাই ভাল। শুনে মনে হতেই পারে, জল খেতে গেলে পাত্রে কী এসে যায়? আয়ুর্বেদশাস্ত্র অনুযায়ী, রাতে তামার জগ বা গ্লাসে জল ঢেকে রেখে দিন। সকালবেলায় খালি পেটে সেই জল খেলেই শরীরের নানা রোগব্যাধি দূর হয়।
অনেকেই আছেন যাঁরা নিয়মিত তামার বোতলে সারা দিন ধরে জল খান। লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন, হাড়ের রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংযোগকারী টিস্যু গঠন-সহ বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তামা। এটি কোলাজেন তৈরিতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার। তবে বলা হচ্ছে যে, তামা অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে গেলে শরীরের পক্ষে তা বিষাক্ত হতে পারে। তবে কি তামার বোতলে জল খাওয়ার অভ্যাস আদৌ ভাল?
‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অফ ডায়েটারি সাপ্লিমেন্টস’ অনুসারে, তামার বোতলে রাখা জল খাওয়া উপকারী। তবে পরিমাণের উপর সতর্ক থাকতে হবে। এর ফলে কিন্তু বিষক্রিয়াও হতে পারে। তামার বোতল থেকে বেশি মাত্রায় জল খেলে বমি বমি ভাব, বমি এবং ডায়েরিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই উপসর্গগুলি তামার বিষাক্রিয়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎকের সঙ্গে পরামর্শ না করা হলে লিভার এবং কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
নিয়মিত তামার বোতল থেকে জল খেতে থাকলে তামার উপাদান বা ক্রিস্টালগুলি রক্তে মিশে কিডনি ও লিভারের ক্ষতি করে। পরবর্তী কালে শ্বাস নেওয়ার সময়ে আপনার নাক এবং গলায় জ্বালা হতে পারে, মাথা ঘোরানো এবং মাথাব্যথার মতো লক্ষণগুলি অনুভব করতে পারেন।
তা হলে কি তামার বোতলে জল খাওয়াই যাবে না?
তামার পাত্রে রাখা জল খাওয়া ভাল, তবে খেতে হলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। দিনে ২ থেকে ৩ বারের বেশি তামার বোতলে জল না খাওয়াই ভাল। সারা দিন তামার বোতল থেকে জল খেলে লাভের পরিবর্তে ক্ষতি বেশি হবে। সবচেয়ে ভাল হয় রাতে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত তামার পাত্রে জল রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে তা খেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy