পাঁচ মাসের অপেক্ষার পর অবশেষে মেয়েকে সামনে আনলেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। বাড়িতে ঘটা করে অন্নপ্রাশনের চল নেই। তাই ইসকন মন্দিরের পুরোহিতই কৃষভির মুখে প্রথম পায়েস তুলে দিলেন। এসেছিলেন কাঞ্চনের ছোটবেলার বন্ধুরা। কাছের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে এই বিশেষ দিনটি ভাগ করে নিলেন তারকাদম্পতি। অনেক ঝড় পেরিয়ে মেয়ে কৃষভিকে নিয়ে সুখে থাকতে চান তাঁরা। এ দিন এই কথাই বার বার বলেন শ্রীময়ী।
আর কোনও ভুল বোঝাবুঝি চান না তৃণমূল বিধায়ক। কাঞ্চন বললেন, “বিয়ের সময় অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন, একটা ভুল লেখার কারণে। মেয়ের অন্নপ্রাশনের সময় এমন কোনও ভুল বোঝাবুঝি হোক চাইনি। তাই কৃষভির প্রথম ভাত খাওয়ার দিনে সবার উপস্থিতিতে সকলের সামনে আনলাম ওকে।”
মাথায় জুঁইয়ের মালা, লাল বেনারসিতে শ্রীময়ী এই দিন একেবারে নতুন মা। সোনার গয়নায় সেজেছিলেন অভিনেত্রী। আর কাঞ্চনের পরনে ছিল লাল-সাদা ধুতি, পাঞ্জাবি। রুপোর থালায় ভাত, বিভিন্ন রকম ভাজা, পায়েস সাজিয়ে কৃষভিকে দেওয়া হয়েছিল এই দিন। যেহেতু মন্দিরে পুরো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল তাই সবটাই ছিল নিরামিষ পদ।
কালো জিরে দেওয়া আটার লুচি, সাদা ভাত, পোলাও, এঁচোড়ের তরকারি, পনির, ডাল, বেগুনি, পাঁচ তরকারি, পাঁপড়, চাটনি, পায়েস।
অন্নপ্রাশন উপলক্ষে মা-মেয়ে দু’জনের পোশাকেই ছিল রংমিলন্তি। লাল-সাদা চন্দনের ফোঁটা, সোনার মুকুট, লাল বেনারসিতে একেবারে মল্লিকবাড়ির রানি সে। ভিড় দেখে একটু কাঁদলেও দিদাকে দেখেই সে খুশি। শ্রীময়ী বললেন, “মা-কেই বেশি চেনে। এই মানুষটিকে দেখলেই ও খুশি। দিদা, দাদু, মাসি আর দিদিদের সঙ্গে সে সারা ক্ষণ কাটায়।” এ দিন সবার উপস্থিতিতে আরও জমজমাট হয়ে উঠল কৃষভির বিশেষ মুহূর্ত। এই দিনে সকলের কাছে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর একটাই আর্জি, সবাই যেন আশীর্বাদ করে। কৃষভি যেন ভাল মানুষ হয়।