ত্বক লাল হয়ে র্যাশ বেরোচ্ছে? ছবি: সংগৃহীত।
গরমের দাপট দিনে দিনে বাড়ছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘাম। ঘামে ভেজা পোশাক পরে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ ক্ষণ। ভেজা জামা গায়ে কিছু ক্ষণ থাকার পর শুকিয়ে গেলেও তুলনায় মোটা ট্রাউজ়ার্স বা জিন্স কিন্তু সহজে শুকোতে চায় না। তার সঙ্গে ভেজা, আঁটসাঁট অন্তর্বাসও ত্বকের সঙ্গে চেপে বসে থাকে। বাড়ি ফিরে পোশাক খোলার পর দেখা যায়, ত্বক লাল হয়ে গিয়েছে। কারও কারও আবার ঊরু কিংবা গোপন স্থানে র্যাশও বেরোতে দেখা যায়। অনেকেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লাল হওয়া জায়গায় ‘অ্যান্টিসেপটিক’ ক্রিম বা মলম মাখেন। তাতে হয়তো সাময়িক আরাম মেলে। কিন্তু, সমস্যা পুরোপুরি নির্মূল হয় না।
কী করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন?
১) বাড়ি ফিরতে যত রাতই হোক, ঈষদুষ্ণ জলে ওই অংশ পরিষ্কার করতে হবে। তবে সাবধান, কোনও ভাবেই যেন ক্ষতস্থানে সাবান না লাগে। খুব বেশি ঘষারও প্রয়োজন নেই। পরিষ্কার, শুকনো, সুতির কাপড় দিয়ে চেপে জল মুছে নিলেই হবে।
২) ক্ষতস্থানে নখ লাগলে বা ঘুমোনোর সময়ে ঘষা লাগলে কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যদি ভুলবশত তেমনটা হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ঠান্ডা সেঁক দেওয়া যেতে পারে।
৩) ক্ষতস্থান পরিষ্কার করার সময়ে ঈষদুষ্ণ জলে অ্যালকোহল জাতীয় দ্রবণ মেশান অনেকেই। অ্যালকোহল কিন্তু ঊরুর ত্বক শুষ্ক করে তুলতে পারে। সে ক্ষেত্রে রাসায়নিক এবং সুগন্ধি-মুক্ত ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করাই ভাল।
ক্ষতস্থানে নখ লাগলে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) এই ধরনের সমস্যা এড়াতে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। গোপনাঙ্গের ত্বক পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি নিয়মিত অন্তর্বাসও কাচতে হবে। ঘাম বসতে দেওয়া যাবে না। পরিষ্কার, ঢিলেঢালা সুতির জামা পরতে হবে।
৫) শরীরের গোপন অংশে ঘাম বসে সহজেই সংক্রমণ ছড়ায়। ঘাম কম হওয়ার জন্য জলে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে স্নান করা যেতে পারে। পোশাক পরার আগে ট্যালকম পাউডার কিংবা কর্নস্টার্চ ছড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy