গরমে সুস্থ থাকবেন কী করে? —প্রতীকী ছবি।
চৈত্র মাসের চাঁদিফাটা রোদ। গরমে গলদঘর্ম অবস্থা। তাই বলে চৈত্র সেলের কেনাকাটা তো বন্ধ থাকতে পারে না। তার পর সামনেই খুশির ইদ। সেই উপলক্ষে উত্তর থেকে দক্ষিণ কোথাও তিলধারণের জায়গা নেই। নিউমার্কেট চত্বরে গেলেই তা টের পাওয়া যাবে। কিন্তু এই রোদের মধ্যে যদি হঠাৎ শরীর বিগড়ে যায়, তা হলে কী করবেন? চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সময়ে হিট স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা বেশি। শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে গেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। সেখান থেকেও নানা রকম সমস্যা হতে পারে। তাই বাইরে বেরোনের আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১) পর্যাপ্ত জল খান:
সারা দিনে অন্তত পক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল খেতে হবে। যদি দেখেন অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে, সেই অনুযায়ী জল খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। চাইলে জলের বদলে ফলের রস, ওআরএস, শরবতও খেতে পারেন।
২) বেশি করে ফল খেতে হবে:
কেনাকাটা করার এক ফাঁকে একটু ফল খেয়ে নেওয়া যেতে পারে। জলের বিকল্প হিসেবে ফল ভালই। তরমুজ, লেবু, শসার মতো ফলে জলের পরিমাণ বেশি। সঙ্গে নানা রকম খনিজও থাকে। তাই ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয় না।
৩) সরাসরি রোদ যেন না লাগে:
কেনাকাটা যদি করতেই হয় তা হলে বিকেল ৪টের পর বেরোন। যাঁদের একেবারেই উপায় নেই, তাঁরা সঙ্গে ছাতা, টুপি রাখতে পারেন। শুধু ডিহাইড্রেটশন নয়, রোদ লাগলে মাইগ্রেনের সমস্যাও হতে পারে।
৪) হালকা পোশাক পরতে হবে:
গরমে যতটা সম্ভব হালকা, সুতির পোশাক পরুন। বেশি ক্ষণ রোদে থাকলে ‘ট্যান’ পড়তেই পারে। তাই অনেকেই গা-ঢাকা পোশাক পরেন। তবে, খেয়াল রাখবেন সেই পোশাক যেন খুব আঁটসাঁট না হয়।
৫) চা, কফি বাদ:
গরমে পানীয় বেশি করে খেতে হবে মানেই যে চা, কফি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেবেন, তা কিন্তু হবে না। চিকিৎসকেরা বলছেন, এতে কিন্তু হিতে বিপরীত হবে। গরমে গলা শুকিয়ে গেলে বরফগলা জলও যেমন খাবেন না, তেমন ক্যাফিন-যুক্ত পানীয়ও বেশি খাওয়া ভাল নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy