কিছু দিন আগেই গওহর খান জানিয়েছেন, তিনি আবার মা হতে চলেছেন। মার্জার সরণীতে হাঁটতে হাঁটতেই নিজের স্ফীতোদর প্রদর্শন করেছেন অভিনেত্রী। সেখানে তাঁর আত্মবিশ্বাসী চলন, ছিমছাম চেহারা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শকেরা। অনেকেই বলছেন, গওহরকে দেখলে বোঝাই যাচ্ছে না, তিনি এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। বস্তুত প্রথমবার সন্তান প্রসবের পরেও গওহর দ্রুত তাঁর আগের চেহারায় ফিরেছিলেন। সন্তান জন্মের পরে মায়েদের শরীরে স্বাভাবিক নিয়মেই মেদ জমে। কিন্তু গওহর কোনও অজানা উপায়ে দ্রুত সেই মেদ ঝরিয়ে আবার ঝরঝরে হয়ে ফিরেছিলেন পর্দায়। দেখে বিস্মিতই হয়েছিলন ভক্তরা। সম্প্রতি তাঁর দ্বিতীয়বার সন্তানধারনের খবর দিয়ে অভিনেত্রী জানালেন ওজন ঝরানোর জন্য তিনি কী করেছিলেন।

স্বামী জ়ায়েদ দরবারের সঙ্গে গওহর খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
গওহর এক রেডিয়ো চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্রথমবার মা হওয়ার পরে বাড়তি মেদ ঝরিয়ে পুরনো চেহারায় ফিরতে তিনি কোনও নামী জিম প্রশিক্ষকের সাহায্য নেননি। তার বদলে তিনি যা করেছেন, তা হল স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছেন এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করেছেন।অবশ্য গওহর জানিয়েছেন ওজন ঝরানোর জন্য যেমন তিনি প্রশংসা শুনেছেন, তেমনই অনেকে তিরস্কারও করেছেন তাঁকে।

প্রথম সন্তান জ়েহান দরবারের সঙ্গে গওহর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
গওহর জানিয়েছেন, তিনি বোঝেন অনেকের পক্ষেই প্রথম বার মাতৃত্বের পরে ওজন ঝরিয়ে আবার পুরনো চেহারায় ফেরা সহজ হয় না। তাঁর পক্ষেও কাজটা সহজ ছিল না। ওজন ঝরানোর জন্য লক্ষ্যে স্থির থেকে নিরন্তর পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁকে। সংযম পালন করতে হয়েছে খাবারেও। স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকার বাইরে একটি দানাও মুখে না তোলা সহজ কাজ নয়। কিন্তু তা করার পরে তাঁকে এ কথাও শুনতে হয়েছে যে, ‘‘কেন দেখাচ্ছ যে এত ওজন কমিয়ে ফেলেছো। অন্য মহিলাদের কথা ভাববে না? তাঁরা তো তোমার মতো প্রচুর অর্থ খরচ করে জিম প্রশিক্ষক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে পারে না।’’ সাক্ষাৎকারে সেই সব মন্তব্যের কথা জানিয়ে গওহর বলেছেন, ‘‘না, আমিও প্রচুর অর্থ খরচ করে কোনও জিম প্রশিক্ষকের দ্বারস্থ হইনি। আমাকে কেউ ডায়েটচার্টও প্রস্তুত করে দেয়নি। আমি নিজে পরিশ্রম করে ওই জায়গায় পৌঁছেছিলাম।’’