মুখশ্রী যতই সুন্দর হোক না কেন, সৌন্দর্য নষ্ট করে দিতে পারে চোখের তলার কালি বা মুখের দাগছোপ। ক্লান্তি, ঘুমের অভাবে অনেকেরই চোখের নীচে বা চারপাশে কালি পড়ে। কখনও ব্রণ খোঁটাখুঁটির ফলে, কখনও আবার অন্য কারণে কারও কারও মুখে কালচে দাগছোপও হয়। এই দাগ ত্বক থেকে সম্পূর্ণ তোলা সময়সাপেক্ষ। তবে রূপটানের সঠিক কৌশলে তা সাময়িক ভাবে ঢেকে দেওয়া মোটেই কঠিন নয়। প্রেম দিবসে সঙ্গীর সঙ্গে নৈশভোজে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে? তার আগে জেনে নিন ত্বকের খুঁত ঢাকার কৌশল।
১. ফেসওয়াশ দিয়ে মুখে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহারের পর শুরুটা করুন প্রাইমার দিয়ে। ব্রণের ক্ষত, উন্মুক্ত রন্ধ্র ঢেকে ত্বককে মসৃণ করে তুলতে সাহায্য করবে এটি। তবে ত্বকের ধরন অনুযায়ী তা নির্বাচন করতে হবে। তৈলাক্ত ত্বক হলে বেছে নিন জেল বেস্ড প্রাইমার।
২. ত্বকের খুঁত ঢাকতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ‘কালার কারেক্টর’। মুখে ব্রণের দাগ হোক বা কালো ছোপ বা চোখের চারপাশের কালি, প্রয়োজন মতো কারেক্টর বেছে নেওয়া জরুরি। পিচ, সবুজ, কমলা, লাল বিভিন্ন ধরেনর রং রয়েছে। ত্বক এবং দাগছোপ অনুযায়ী সেটির ব্যবহার হয়। দাগের উপরে সাবধানে রঙের পরত লাগিয়ে দিতে হবে, যাতে কালচে অংশ ঢাকা পড়ে।
আরও পড়ুন:
৩. মুখের কালো দাগ বা চোখের নীচের কালি ঢাকতে কনসিলার ভীষণ প্রয়োজন। কালার কারেক্টর ব্যবহারের পর তা মুখে মিলিয়ে দিতে হবে। তার পরেও যে অংশগুলি কালচে রয়েছে সেখানে দিতে হবে কনসিলারের প্রলেপ। তার উপরে দিতে হবে ত্বকের উপযোগী ফাউন্ডেশন। কনসিলার, ফাউন্ডেশন ভাল ভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর উপরেই নির্ভর করবে সৌন্দর্য।
৪. ফাউন্ডেশনের প্রলেপের পরেও চোখের নীচের কালো দাগ উঁকি দিলে বা মুখে অন্য কোনও দাগ থাকলে আবার সেই স্থানে ব্যবহার করতে পারেন কনসিলার। ব্লেন্ডিং ব্রাশের সাহায্যে তা ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে ভুললে কিন্তু চলবে না।
৫. একদম শেষ ধাপে প্রয়োজন ফেস পাউডারের। মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করতে চাইলে সেটিং স্প্রেও ব্যবহার করতে পারেন।
একাধিক প্রসাধনী ব্যবহার করতে হলেও কৌশল রপ্ত হয়ে গেলে মাত্র ১০ মিনিটই ত্বকের খুঁত ঢাকার জন্য যথেষ্ট। সাজগোজ শেষ করতে এর পর ব্লাশার, লিপস্টিক, কাজল, আইলাইনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন।