Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Cardiac Arrest

Heart Rate: হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার কেন বাড়ে-কমে? কোন রোগের লক্ষণ

বিশেষজ্ঞদের মতে, এক জন সুস্থ পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের স্বাভাবিক হার প্রতি মিনিটে ৭২।

হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হারে হেরফের কিসের লক্ষণ

হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হারে হেরফের কিসের লক্ষণ ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২২ ০৭:১৫
Share: Save:

প্রতি বছর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যান হৃদ্ রোগে আক্রান্ত হয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মিনিটে ৭২। ব্যক্তি বিশেষে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ৬০ বার থেকে সর্বোচ্চ ১০০ বারও হতে পারে। তবে যাঁরা পেশাগত ভাবে খেলাধুলো কিংবা শরীরচর্চা করেন, তাঁদের হৃদ্‌স্পন্দনের হার অপেক্ষাকৃত কম হয়। কিন্তু হৃদ্‌স্পন্দনের হার বেশি বা কম হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বিচক্ষণতার পরিচয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাভাবিকের তুলনায় কম বা বেশি হওয়া মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হারের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা হ্রাস একাধিক অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার মিনিটে ৬০ বারের থেকে কমে যাওয়াকে বিজ্ঞানে ব্রাডিকার্ডিয়া বলা হয়। আবার হৃদ্ স্পন্দনের হার ১০০ বারের থেকে বেড়ে গেলে তাকে বলে ট্যাকিকার্ডিয়া।

বিশেষজ্ঞদের মতে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার কম হওয়ার পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে।
১। হৃদ্‌স্পন্দনের হার কমে যাওয়া হৃদ্‌রোগের অন্যতম লক্ষণ। হৃদ্‌যন্ত্রের যে অংশটি হৃদ্‌স্প‌ন্দনের উৎস, তার নাম সাইনো অ্যাট্রিয়াল নোড। এই সাইনো অ্যাট্রিয়াল নোড সঠিক ভাবে কাজ না করলে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার কমে যেতে পারে।
২। টাইফয়েডের মতো কিছু রোগের ফলেও হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার কমে যায়।
৩। থাইরয়েড গ্রন্থি সঠিক ভাবে কাজ না করলেও কমতে পারে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার ।
৪। রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলেও হৃদ্‌যন্ত্রে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন:

আবার হৃদ্‌স্পন্দনের হার স্বাভাবিকের থেকে বেড়ে গেলেও সেটি ডেকে আনতে পারে বিপদ। ফলে যে সব অসুখে হৃদ্‌স্পন্দনের হার বাড়ার ঝুঁকি থাকে, সে সব সময়ে বেশি সতর্ক হতে হবে।

১। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত যে কোনও ধরনের জ্বরে হৃদ্‌স্পন্দনের হার বৃদ্ধি পায়।
২। সংবহনতন্ত্রের সমস্যা থাকলে বেড়ে যেতে পারে হৃদ্‌স্প‌ন্দনের হার।
৩। রক্তাল্পতা ও হাঁপানির মতো সমস্যাও হৃদ্‌স্পন্দনের হার বাড়িয়ে দিতে পারে।
৪। কোভিডের পরেও বেশ কিছু রোগীর মধ্যে এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।

হৃদ্‌স্পন্দনের অস্বাভাবিক হার হৃদ্‌রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। ক্লান্তি, ঝিমুনি, বুক ধরফর করা, শ্বাসকষ্ট-সবই হৃদ্‌রোগের লক্ষণ। তাই এই ধরনের সমস্যা উপেক্ষা করা একেবারেই অনুচিত। বর্তমানে হৃদ্‌স্পন্দন মাপার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ায় প্রয়োজন হয় না। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্রযুক্তির মধ্যে দিয়েই এর পরিমাপ সম্ভব। কাজেই যদি এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ।

অন্য বিষয়গুলি:

Cardiac Arrest Heart rate
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy