Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Pins and Needles

Tingling in hands and legs: হাত পায়ে ঝিঁঝি ধরে কেন? কখন যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে

বিজ্ঞানের ভাষায় একে টেম্পোরারি প্যারেসথেশিয়া বলে, ইংরেজিতে এটিকে পিনস অ্যান্ড নিডলসও বলা হয়ে থাকে।

হাত পায়ে ঝিঁঝি ধরার কারণ

হাত পায়ে ঝিঁঝি ধরার কারণ ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২২ ১৬:২৫
Share: Save:

হাতে বা পায়ে ঝিঁঝি ধরা বিষয়টি নিয়ে সকলেই পরিচিত। অনেক সময় পা বা হাতের ওপর দীর্ঘ ক্ষণ চাপ পড়লে বা একই ভঙ্গিমায় বসে বা শুয়ে থাকলে সাময়িক যে অসাড় অনুভূতি তৈরি হয় সেটিকেই সাধারণত ঝিঁঝি ধরা বলা হয়ে থাকে। বিজ্ঞানের ভাষায় একে টেম্পোরারি প্যারেসথেশিয়া বলে, ইংরেজিতে এটিকে পিনস অ্যান্ড নিডলসও বলা হয়ে থাকে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

এই ঝিঁঝি ধরার অনুভূতিটিকে মোটামুটি ভাবে তিন ধাপে বিভক্ত করা যায়।

প্রথম ধাপে তিন থেকে চার মিনিটের জন্য কিছুটা অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়, এই সময় মনে হয় যেন ত্বকের ভিতর অসংখ্য পিপড়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। এই বিষয়টিকে কমপ্রেশন টিঙ্গলিং বলা হয়।

দ্বিতীয় ধাপটি সাধারণত শুরু হয় পাঁচ-দশ মিনিট পর। এই ধাপে হাতে বা পায়ের সংশ্লিষ্ট অংশটি অসাড় হয়ে আসে।

তৃতীয় ও শেষ ধাপটি শুরু হয় চাপ অপসারণ করার পর। এই অংশটিকেই ইংরেজিতে পিনস অ্যান্ড নিডলস বলা হয়। এই সময়ে মনে হয় যেন অসংখ্য সুঁচ দিয়ে একসঙ্গে ঐ অংশে খোঁচা দেয়া হচ্ছে। তবে সাধারণত কিছু ক্ষণের মধ্যেই অসাড়তা এবং খোঁচা লাগার মতো অস্বস্তিকর অনূভুতি চলে গিয়ে স্বাভাবিক অনুভূতি ফিরে আসে।

কিন্তু কেন হয় এমনটা?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবদেহের সর্বত্র অসংখ্য স্নায়ু রয়েছে, এই স্নায়ুগুলি মস্তিষ্ক ও দেহের অন্যান্য অংশের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করে। বসা বা শোয়ার সময় এই স্নায়ুর কোনও একটিতে চাপ পড়তে পারে। স্নায়ুতে চাপ পড়ার ফলে শরীরের ওই অংশ থেকে তথ্য মস্তিষ্কে ঠিক ভাবে পৌঁছতে পারে না। পাশাপাশি দেহের ওই অংশে রক্ত চলাচলকারী শিরার উপরও। ফলে শরীরের ওই অংশে রক্ত চলাচল ব্যহত হয়। এর ফলে ঝিঁঝি ধরতে পারে। এই পরিস্থিতি থেকে চাপ অপসারিত হলে, একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ রক্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গে প্রবাহিত হয়, পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ তথ্য মস্তিষ্কে প্রবাহিত হতে শুরু করে। ফলে সুঁচ ফোটার অনুভূতি তৈরি হয়।

কখন পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসকের

সাধারণত ভঙ্গি বদলের অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই এই সমস্যা দূর হয়ে যায়। কিন্তু এই সমস্যা যদি ক্রমাগত হতেই থাকে তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কোনও অঙ্গ যদি বার বার এই সমস্যায় আক্রান্ত হয় বা দীর্ঘ সময় পরেও ঝিঁঝি লাগা বন্ধ না হয়, তবে অবিলম্বে যোগাযোগ করতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে। মেরুদণ্ড ও মস্তিষ্কের সমস্যা থেকে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্যারেসথেশিয়া দেখা দিতে পারে ডায়বিটিস থেকেও। তাই দীর্ঘ সময় ধরে এই সমস্যা দেখা দিলে বসে থাকা যাবে না।

অন্য বিষয়গুলি:

Pins and Needles Nerve Blood Vessels
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy