মুখের ব্রণ সারলেও, কপালের ব্রণ-ফুস্কুড়ি কমতে চায় না সহজে। যতই মলম বা ক্রিম লাগান না কেন, ছোট ছোট ব্রণ কপাল জুড়ে থেকেই যাবে। আর ঘাম হলেই তা বাড়বে। চুলকানি, র্যাশের সমস্যাও ভোগাবে। কপালের ব্রণ দূর করার জন্য নানা জনে নানা রকম টোটকা ব্যবহারের কথা বলেন। দোকান থেকে নামী ব্র্যান্ডের ক্রিম কিনে এনেও হয়তো তেমন কাজ করে না। নাছোড় ব্রণ কিছুটা কমলেও, আবার ফিরে আসে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ত্বক তার আর্দ্রতা হারালে বা ভিতর থেকে ত্বকের পুষ্টির অভাব হলেই এমন ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা দেখা দেয়। তাই ভিতর থেকে ত্বককে তরতাজা রাখতে হবে। সে জন্য প্রসাধনী নয়, নজর দিতে হবে ডায়েটে।
কথায় বলে, দিনে একটি আপেল খেলেও নাকি বহু অসুখবিসুখ দূরে থাকে। আপেল হার্ট, লিভারের জন্য যেমন উপকারী, তেমনই ত্বকের জন্যও ভাল। এই ফলের ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের যে কোনও সমস্যা দূর করতে পারে। নিয়মিত আপেল খেলে ব্রণ, ফুস্কুড়ি, র্যাশ তো কমবেই, ত্বকের অ্যালার্জি, যে কোনও সংক্রমণ জনিত সমস্যাও দূরে থাকবে।
আরও পড়ুন:
আপেলে ভরপুর মাত্রায় রয়েছে পেকটিন যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। হজম শক্তি বাড়ায়। চিকিৎসকেরা বলেন, পেটের সমস্যা লাগাতার হতে থাকলে তার ছাপ পড়ে ত্বকে। যাঁদের পেটের রোগ বেশি, তাঁদেরই ব্রণ-ফুস্কুড়ির মতো সমস্যা বেশি ভোগায়। তাই পেট ভাল রাখলে ত্বকও সজীব ও তরতাজা থাকবে। ফাইবার সমৃদ্ধ আপেল খেলে পেটের অনেক রোগই কমে যায়। অন্ত্রে উপকারী ব্যাক্টিরিয়ার সংখ্যা বাড়ে। কাজেই হজমের গোলমাল কমে যায়। তাই গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও ধীরে ধীরে কমতে থাকে। দিনে একটি বা দুটি আপেল অনায়াসেই খাওয়া যায়। বয়স্কদের চিবোতে সমস্যা হলে, আপেল সেদ্ধ করে খেতে পারেন। তাতেও উপকার হবে।