স্বাস্থ্যের সঙ্গে যদি আপস করা না যায়, তবে স্বাদের সঙ্গেই বা যাবে কেন? ঠিক সে কারণেই মুখরোচক, ভাজাভুজি সব খাবারই বিক্রি হচ্ছে অন্য মোড়কে, স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রস্তুত করে। অন্তত তেমনটাই দাবি করছেন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি।
যেমন তেলে ভাজা মুচমুচে আলুর চিপ্স এখন স্বাস্থ্যসচেতনদের কাছে ব্রাত্য। বদলে স্বাস্থ্যকর তালিকায় নাম জুড়েছে রাগি, মিলেট, বিটের চিপ্সের। আইসক্রিমও এখন মিলছে কম ক্যালোরির। নুডল্সে ময়দার বদলে ব্যবহার হচ্ছে আটা কিংবা মিলেট। ঠিক তেমনই অনলাইনে খোঁজ করলে মিলছে ‘গ্লুটেন ফ্রি’ চিপ্স। কিন্তু কী এটি? কারাই বা খাবেন?
এ ক্ষেত্রে জানা দরকার গ্লুটেন কী? এটি হল এক ধরনের প্রোটিন, যা মূলত গমের আটা, ময়দা, বার্লি, রাইয়ের মধ্যে পাওয়া যায়। অনেকেরই আটা বা ময়দায় থাকা গ্লুটেন হজমে সমস্যা হয়। যে কারণে কারও কারও রুটি খেলে অম্বল, বদহজম হয়ে যায়। পুষ্টিবিদ রামিয়া বি বলছেন, ‘‘সেলিয়াক ডিজ়িজ় বা গ্লুটেনে অ্যালার্জি থাকলে, তাঁদের গ্লুটেন-মুক্ত খাবার খাওয়া দরকার।’’ কর্ন, আলু, চালের চিপ্স খেতে পারেন তাঁরা।
টর্টিলা চিপ্স গ্লুটেন ফ্রি?
ইদানীং টর্টিলা চিপ্সও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তিনকোনা মুচমুচে চিপ্স ছোটরা তো বটেই, বড়দেরও অনেকে খান। টর্টিলা চিপ্স কর্ন দিয়ে বানানো হলে সেটি গ্লুটেন ফ্রি। ভুট্টার দানার গুঁড়ো দিয়ে এই ধরনের চিপ্স তৈরি হয়। তবে টর্টিলা চিপ্স অনেক সময় আটারও হয়। সেটি কিন্তু গ্লুটেন-মুক্ত নয়। তাই গ্লুটেনে অ্যালার্জি থাকলে খাবারের মোড়ক ভাল করে পড়ে নেওয়া দরকার। ‘গ্লুটেন-মুক্ত খাবার’ অনেক সময় মোড়কে আলাদা করে লিখে দেওয়া থাকে।
আলুর চিপ্সে কি গ্লুটেন থাকে?
মশলাবিহীন আলুর চিপ্সে গ্লুটেন থাকার ভয় নেই। তবে এখন স্বাদবৃদ্ধিতে নানা রকম পরত থাকে চিপ্সে। মল্ট ভিনিগার (বার্লি থেকে তৈরি), আটা-মশলার পরত, সয়া সস্-সহ অনেক কিছু চিপ্সে মেশানো হয়। সেটি কিন্তু তখন আর গ্লুটেন-মুক্ত থাকে না।