জাঁকিয়ে শীত পড়তেই ঘরে ঘরে হানা দিয়েছে সর্দি-কাশি। শিশু থেকে বৃদ্ধ, রেহাই নেই কারও। কেউ দিনে কয়েকশো বার হাঁচি দিচ্ছেন তো কারও নাক থেকে অবিরাম স্রোত বয়ে চলেছে। সেই সঙ্গে কাশি আর ঢোঁক গিলতে না পারার মতো গলাব্যথা তো আছেই। আর এই অসুস্থতা থেকে নিষ্কৃতি পেতে কড়া কড়া ওষুধ খাওয়ার কথা ভাবলেই আরও কাহিল লাগে। তবে ওষুধ ছাড়াও, হাতের কাছেই সুস্থ হয়ে ওঠার অন্য নিদান রয়েছে। হেঁশেলেই পেয়ে যাবেন চাঙ্গা হয়ে ওঠার চাবিকাঠি। রইল তারই সন্ধান।

তুলসি-মরিচ

কাশতে কাশতে বুকে ব্যথা হয়ে গিয়েছে? হাতের কাছেই রয়েছে সহজ সমাধান। গোটা গোলমরিচ গুঁড়োর সঙ্গে এক চামচ মধু এবং পাঁচটা তুলসি পাতা দিয়ে চটজলদি বানিয়ে ফেলুন এক পানী। ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খাবেন। খাওয়ার পর আর জল খেলে চলবে না। পর ২-৩ দিন খেলেই স্বস্তি পাবেন।

মশলা চা

সর্দি-কাশিতে এক কাপ গরম চা খুবই আরামদায়ক। তবে সেই চা হতে হবে একেবারে অন্যরকম। শরীর চাঙ্গা রাখতে চা বানাতে হবে মশলাদার করে। কী রকম? জলে কয়েকটি তুলসি পাতা, ছোট্ট টুকরো আদা এবং এক চিমটি গোল মরিচ ফেলে চা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে ফেলুন। মশলা চা তৈরি। দিনে কয়েক বার এই চায়ে চুমুক দিলে রোগবালাই নিমেষে উবে যাবে।

আদার হালুয়া

সর্দি-কাশি হলে মুখের রুচি চলে যায়। কিছুই খেতে ইচ্ছা করে না। তবে সামনে আদার হালুয়া থাকলে, এক বার চেখে দেখতেই হবে। কড়াইয়ে ঘি গরম করে, আদা বাটা, সুজি এবং চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। হালুয়া তৈরি হয়ে গেলে এক চামচ করে দিনে তিনবার খান। ঠান্ডা লাগা কমে যাবে।