অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্ট্রেচমার্কের সমস্যা যেমন দেখা দেয়, তেমনই বয়ঃসন্ধিতেও বাড়ে এই সমস্যা। আবার আচমকা কারও ওজন অনেকটা বেড়ে গেলেও কাঁধে, পায়ের কাফ মাসলে, হাঁটুতেও স্ট্রেচ মার্ক দেখা যায়। পছন্দের পোশাক পরতে গেলে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেগুলি।
কিন্তু স্ট্রেচমার্ক দূর হবে কী করে? ছোটখাটো কারণের জন্য চিকিৎসকের কাছে ছুটতে কে-ই বা চান? তার চেয়ে বরং অনেকেই আস্থা রাখেন সমাজমাধ্যমে প্রচারিত ঘরোয়া টোটকায়। কেউ বলেন দই-হলুদ মাখতে, কারও পরামর্শ নারকেল তেল ঘষার। কিন্তু এতে কি আদৌ কাজ হয়?
কলকাতার এক হাসপাতালের ত্বকের চিকিৎসক আশারানি ভোল বলছেন, ‘‘স্ট্রেচমার্ক দূর করতে ঘরোয়া টোটকা বিশেষ কাজের নয়। বরং লেজ়ার থেরাপি এবং ওষুধ এ ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকর হতে পারে। স্ট্রেচমার্ক হয় কোলাজ়েন কমে গেলে। এ ছাড়াও অনেক কারণ থাকে। ফলে কোলাজ়েন বৃদ্ধি করতে পারে এমন ওষুধ দেওয়া হয়।’’
তবে তরুণ প্রজন্মের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ, স্ট্রেচমার্ক যাতে না হয়, সে কারণে স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা দরকার। ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে এমন সমস্যা হবে। আশারানির কথায়, পুষ্টিকর এবং পরিমিত খাবার খেলে, শরীরচর্চা করলে শুরু থেকেই সমস্যা কিছুটা এড়ানো সম্ভব। আর লক্ষ্য সেটাই হওয়া দরকার।
কিন্তু এর পরেও যদি স্ট্রেচমার্ক হয়, তা হলে কি করণীয়? সমাজমাধ্যমপ্রভাবী চিকিৎসক চার্লস পুজ়া বলছেন, দু’টি উপাদান এ ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এবং সেন্টেলা। তাঁর পরামর্শ, এই দুই উপাদান আছে এমন ক্রিম ব্যবহারের। পাশাপাশি তাঁর পরামর্শ, প্রতি দিন ৫ মিনিট করে স্ট্রেচমার্কের জায়গাটি মাসাজের। কারণ হিসাবে তিনি বলছেন, ‘‘মাসাজ ফাইব্রোব্লাস্টকে উদ্দীপিত করে নতুন কোলাজ়েন তৈরিতে সাহায্য করে।’’
আরও পড়ুন:
চিকিৎসায় হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি ব্যবহার হয় বলছেন আশারানি। তবে এতে পুরোপুরি স্ট্রেচমার্ক সারে না সব সময়। এ ক্ষেত্রে লেজ়ার থেরাপি অনেক বেশি কার্যকর।
অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে কী করণীয়?
তাঁদের ক্ষেত্রে সাধারণত কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। বাজারচলতি স্ট্রেচমার্ক কমানোর ক্রিম কিনে নিজের মতো মাখাও বিপজ্জনক হতে পারে। চিকিৎসক বলছেন, এই সময় ত্বককে আর্দ্র রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। নারকেল তেল, অ্যালো ভেরা মাখতে বলছেন আশা।