কোলেস্টেরল হাতের মুঠোয় না রাখলে এর হাত ধরেই জন্ম নেয় আরও অনেক শারীরিক সমস্যা। প্রতীকী ছবি।
একটা বয়সের পর যে ক্রনিক সমস্যাগুলি জাঁকিয়ে বসে শরীরে, তার মধ্যে অন্যতম হল কোলেস্টেরল। তবে শুধু বয়স বাড়লে নয়, আধুনিক জীবনযাত্রায় কম বয়স থেকেও শরীরে বাসতে বাঁধতে শুরু করেছে কোলেস্টেরল। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, কাজের অত্যধিক চাপ, বিশ্রামের অভাব, তেল-মশলাদার খাবার অত্যধিক পরিমাণে খাওয়া— এমন কিছু কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে শরীরে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কোলেস্টেরল থাকলেও তা যেন কখনও বিপদসীমা পেরিয়ে না যায়। তা হলেই সমস্যা। কোলেস্টেরল হাতের মুঠোয় না রাখলে এর হাত ধরেই জন্ম নেয় আরও অনেক শারীরিক সমস্যা। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
হার্ট অ্যাটাক
কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক বেশি থাকলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, উচ্চ কোলেস্টেরল রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। নিজের গতিতে রক্ত প্রবাহিত হতে না পারার কারণে জমাট বেঁধে যায়। ধমনিতেও প্রভাব পড়ে এর ফলে। রক্ত জমাট বেঁধে গেলে হৃদ্যন্ত্রের উপরও চাপ পড়ে। ফলে স্বাভাবিক হারে আর পাম্প করতে পারে না। এর থেকেই হার্ট অ্যাটাক হয়।
প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়া
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে রক্ত জমাট বেঁধে রক্তনালিগুলি সঙ্কীর্ণ হয়ে যায়। এই অবস্থাকে বলা হয় ‘অ্যাথেরোস্কেলোরোসিস’। উচ্চ কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রে মূলত এমন হয়। এর ফলে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা তুলনায় কমে যেতে পারে। তাই কোলেস্টেরল থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এ ছাড়া, খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলের মাত্রা বেশি থাকলে ‘হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া’ও হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
ডায়াবিটিস
কোলেস্টেরল সঙ্গে ডায়াবিটিসের একটি যোগ রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে, রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। চিকিৎসকরা ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তা না হলে এই রোগের হাত ধরেই জন্ম নেয় আরও অনেক শারীরিক সমস্যা।
উচ্চ রক্তচাপ
চিকিৎসকদের মতে, কোলেস্টেরল হল আরও অনেক ক্রনিক সমস্যার উৎস। তার মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপও। রক্তচাপের পরিমাণ বাড়তে পারে কোলেস্টেরলের কারণে। তাই যে ভাবেই হোক কোলেস্টেরলের মাত্রা হাতের মুঠোয় রাখতেই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy