খাওয়াদাওয়া একেবারে বন্ধ করে কিংবা কঠোর ডায়েট করে নয়, ওজন কমাতে হবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে। ফাইল চিত্র।
‘প্লাস সাইজ’ এখন ফ্যাশনে ইন। তবু ওজন-বেশি মেয়েদের বরাবরের চেষ্টা রোগা হওয়ার। মাঝেমধ্যে তাঁরা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কোমর ঘুরিয়ে নিজেকে দেখেন আর ভাবেন, সামনের বছর ঠিক কৃতি শ্যাননের মতো কোমরের মাপ করে ফেলব। এই ভেবে অবশ্য বছরের পর বছর কেটে যায়! তবে বিয়ের ঘণ্টা বাজলেই সিংহভাগ মেয়েদের মধ্যে ওজন কমানোর জন্য একটা আলাদা উদ্যম কাজ করে। শাড়ি হোক বা লেহঙ্গা, বিয়ের দিন যেন সকলের নজর কনেতেই আটকে থাকে, সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই রোগা হওয়ার বিশেষ তোড়জোড় দেখা যায় ভাবী কনেদের মধ্যে। তবে খাওয়াদাওয়া একেবারে বন্ধ করে কিংবা কঠোর ডায়েট করে নয়, ওজন কমাতে হবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে।
পুষ্টিবিদদের মতে, এক মাসে তিন কেজি কমানো স্বাস্থ্যসম্মত। অর্থাৎ হাতে যদি পাঁচ মাস সময় থাকে, তবে আট-দশ কেজি কমানো হবে লক্ষ্য। প্রত্যেক মেয়ের শারীরিক গঠন আলাদা। বিয়ের কনেদের নজর থাকে পেট, উরু ও নিতম্বের মেদ কমানোর দিকে। তাই এমন ব্যায়াম বাছতে হবে, যাতে কম সময়ে বেশি ফল পাওয়া যায়। ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিক ভাবে ছ’-সাতটি ব্যায়াম বেছে নিতে হবে। স্কোয়াট, রোয়িং, হ্যামকার্ল, লঞ্জ। এই ব্যায়ামগুলি নিয়ম করে করলে অনেকটা ওজন ঝরানো সম্ভব হয়। পেটের অংশের মেদ কমানোর জন্য কোর এক্সারসাইজ় যেমন প্ল্যাঙ্ক, সাইড প্ল্যাঙ্ক, ব্রিজ করা যেতে পারে। তবে কেবল শরীরচর্চা করলেই হবে না, ব্যায়ামের পাশাপাশি জীবনযাপন এবং খাওয়াদাওয়াতেও বদল আনতে হবে ।
কোন কোন অভ্যাস ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করে?
১) রাতের খাবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেরে ফেলতে হবে। ঘুমোনোর অন্তত আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
২) নিয়মিত শরীরচর্চা করার পাশাপাশি দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা জোরে হাঁটার অভ্যাসও করতে হবে। এতে ওজন ঝরার প্রক্রিয়া তরান্বিত হয়।
৩) এক সঙ্গে ভারী খাবার না খেয়ে সারা দিনে অল্প অল্প করে পাঁচ থেকে ছ’বার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৪) ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়া শুরু করলে সব থেকে আগে বেশি করে জল খাওয়া শুরু করুন। না হলে কিন্তু সমস্যায় পরবেন। দিনে আট থেকে দশ গ্লাস করে জল খেতে হবে।
৫) ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাসে রাশ টানতে হবে।
কোন কোন খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে?
জ্যাম-জেলি, মাখন, মার্জারিন, মিষ্টিজাতীয় খাবার, চিপস, চকোলেট, রাস্তার ধারের ভাজাভুজি, হাই ক্যালোরিযুক্ত ফল (কলা, সবেদা, আম, আতা, কাঁঠাল), বড়া, ভাজা, আলুর কোনও পদ, নরম পানীয়, প্যাকেটজাত ফলের রস খাওয়া বন্ধ করতে হবে। ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে আখরোট, কাজুবাদাম, চিনেবাদাম খেতে পারেন, তবে ২-৪টির বেশি নয়। এই সময়ে লো-ক্যালোরি ডায়েট মেনে চলতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy