খাওয়ার পর মুখশুদ্ধি হিসাবে জোয়ান খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে? ছবি: সংগৃহীত।
জোয়ান মাত্রই হজম সহায়ক, এ কথা কে না জানে! কিন্তু এই মশলা যে শুধুই হজমজনিত সমস্যা সমাধানের টোটকা নয়, তা কি জানেন? জোয়ানের আছে এমন অনেক গুণ, যা শারীরিক বহু সমস্যাকেই বশে রাখতে পারে। খাওয়াদাওয়ার পর এক চিমটে জোয়ান খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। নিমন্ত্রণবাড়ি হোক বা নিজের বাড়িতেই ভারী খাওয়াদাওয়া— জোয়ানের শরণ নেন অনেকেই। ভাজা জোয়ান বা মশলা জোয়ানের চাহিদা এতটাই যে, বাস-ট্রামেও বিক্রি হয় সেই মশলা। কিন্তু হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি জোয়ান আর কী কী ভাবে সাহায্য করতে পারে, জানেন?
১. জোয়ান বিপাকহার বৃদ্ধি করে। গবেষণায় জানা গিয়েছে এতে থাকা ‘থাইমল’ নামক উপাদানটি গ্যাস্ট্রিক জুস’ ক্ষরণের হার বাড়িয়ে তুলতে পারে। যার ফলে বিপাকহার দ্রুত হয়। বিপাকহার বৃদ্ধি পাওয়ার অর্থ হল দ্রুত ক্যালোরি ক্ষয় হওয়া।
২. হজম ভাল হওয়ার জন্য খাওয়ার পর জোয়ান চিবিয়ে খেতে বলা হয়। তেলমশলা দেওয়া ভারী খাবার খাওয়ার পরে পেটে অস্বস্তি হলে এই টোটকায় দ্রুত আরাম মিলতে পারে।
৩. শরীরে জমা হওয়া টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বার করতে সাহায্য করে জোয়ান। এর ফলে শরীর থাকে ঝরঝরে। গবেষণা বলছে, টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে গেলে বিপাকহার বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি, হজমশক্তি বাড়ে। যা ওজন কমানোর জন্য জরুরি।
৪. ঠান্ডা লাগার ধাত কিংবা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য জোয়ান। অ্যাজ়মা বা হাঁপানির সমস্যা থাকলেও জোয়ান ভেজানো জল খাওয়া যায়।
৫. অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদানে সমৃদ্ধ জোয়ান। জোয়ান ভেজানো জল খেলে ব্যাক্টেরিয়াঘটিত সংক্রমণও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy