চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলেই ডায়াবিটিস হবে, এমনটা সঠিক নয়। ছবি- সংগৃহীত
মিষ্টি খেলে ডায়াবিটিস হয়। তাই বেশি মিষ্টি খেয়ো না। ছোটবেলা থেকেই আমরা এ কথা শুনেছি। মিষ্টি বা চিনি খেলে ডায়াবিটিস হয় এমন ধারণা অনেকের মধ্যেই প্রচলিত রয়েছে। তাই অনেকেই ডায়াবিটিস হবে, এই ভয়ে মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। তবে মিষ্টি খেলেই ডায়াবিটিস হবে বা সুগার বেড়ে যাবে, এই ধারণা ভুল। বর্তমানে অসংখ্য মানুষ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই রোগটি সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়। ফলে ডায়াবিটিস থেকে মুক্ত থাকতে চান সবাই। কিন্তু শুধু মিষ্টি খেলে ডায়াবিটিস হবে এটা ভুল। এই রোগ থেকে দূরে থাকতে কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হয়। সঙ্গে নজর দিতে হয় খাবারেও।
শরীরে ইনসুলিন নামের হরমোনের ঘাটতি হলে, ইনসুলিনের কাজের ক্ষমতা কমে গেলে বা উভয়ের মিলিত প্রভাবে রক্তে যদি শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায় তখন তাকে ডায়াবিটিস বলে। আসলে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলেই ডায়াবিটিস হবে, এমনটা সঠিক নয়। মূলত পরিবারে কারওর ডায়াবিটিস থাকলে, শরীরের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলে, শারীরিক পরিশ্রম কম করলে, জীবনযাপনে শৃঙ্খলা মেনে না চললে ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই চিনি খেলেই ডায়াবিটিস হয় না, তবে যদি ডায়াবিটিস আক্রান্ত হলে চিনি খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে বা এড়িয়ে যেতে হবে। তবে যাঁদের ডায়াবিটিস নেই, তাঁরা এই রোগে ঝুঁকি এড়াতে কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন রইল তার হদিস।
১) ভাজাভুজি: অতিরিক্ত তেল রয়েছে এমন খাবারে অনেকটা পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। এ ছাড়া এই খাবার কিন্তু বাড়িয়ে দিতে পারে শরীরে ফ্যাটের মাত্রা। আর শরীরে ফ্যাট বাড়লে ইনসুলিন হরমোন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাই রাস্তার ধারের রোল, চাউমিন, তেলেভাজা জাতীয় যে কোনও খাবার থেকে দূরে থাকাই ভাল।
২) কার্বহাইড্রেট: অনেকেই জলখাবারে রুটি কিংবা পাউরুটি খেতে বেশি পছন্দ করেন। তবে আলু, ময়দা কিংবা ভাত প্রাতরাশে রাখবেন না। এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়।
৩) মদ: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, নিয়মিত মদ্যপান করলে শরীরে সমস্যা দেখা যেতেই পারে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আপনাকে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। কারণ মদে রয়েছে অনেকটা ক্যালোরি। এই ক্যালোরি কমিয়ে দেয় ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা।
৪) প্রক্রিয়াজাত খাবার: এই প্রকার খাবার রোজের খাদ্যতালিকায় রাখলে স্থূলত্বের ঝুঁকি বাড়ে। আর ওবেসিটি ডায়াবিটিসের অন্যতম কারণ। তাই এই প্রকার খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy