মাথার মধ্যে ‘কুয়াশা’ জমেছে?
অসংখ্য মানুষ কোভিডকে পরাজিত করে ফিরে এসেছেন স্বাভাবিক জীবনে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, কোভিড থেকে মুক্তি পাওয়ার পরও শরীরে থেকে যাচ্ছে নানা রকম উপসর্গ। মস্তিষ্কে ধোঁয়াশা বা ব্রেন ফগ সে রকমই একটি সমস্যা।
‘ব্রেন ফগ’ কথাটি আদতে কোনও বৈজ্ঞানিক শব্দবন্ধ নয়। সাধারণত এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা নিজেদের শারীরিক অবস্থা ব্যাখ্যা করার জন্য এই শব্দটি বলে থাকেন। আচমকা ভাবনা-চিন্তা শ্লথ হয়ে যাওয়া, মনোযোগের অভাব, স্মৃতিলোপের মতো নানা ধরনের সমস্যাকে উপসর্গের অন্তর্গত ভাবা হয়। এমনকি, অনেকে সমস্যায় পড়েন কথা বলার সময়েও। কথা বলতে গিয়েও বলতে না পারার সমস্যা দেখা দিতে পারে অনেক ক্ষেত্রে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, কোভিডের পরেও ৬ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত এই উপসর্গ থাকতে পারে কোনও কোনও রোগীর।
এই অবস্থা থেকে বেরোবেন কী করে? তারও উত্তর দিচ্ছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল মনোবিদ।
মাথা খাটানোর খেলা: এমন কিছু খেলা রয়েছে, যা মাথার ব্যায়ামে কাজে লাগে। শব্দছক, তাসের কিছু খেলা বা দাবার মতো বোর্ড গেমে মাথার ভাল ব্যায়াম হয়। এই সময়ে টেলিভিশন দেখে বা অন্য ভাবে সময় কাটালে, তা হয় না। এই ধরনের মাথার ব্যায়ামের মতো খেলা যদি প্রতিদিন কিছুটা সময় খেলা যায়, তা হলে মনের ক্লান্তি কাটতে পারে।
যা শুনছেন, তা জোরে জোরে বলা: কোনও ব্যক্তির সঙ্গে প্রথম আলাপেই যদি আপনি তাঁর নাম বেশ কিছু বার নিয়ে ফেলেন, তা হলে সেই নাম আপনার মস্তিষ্কে গেঁথে যায়। তাই যা শুনছেন, তা নিজে ফের উচ্চারণ করুন উচ্চ স্বরে। এতেই বাড়বে স্মৃতিশক্তি।
যা শুনছেন, তা ভাগে ভাগে মনে রাখুন: কোনও ফোন নম্বর ভাগ করে মনে রাখলে, তা মনে থেকে যায়। ঠিক তেমনই আপনি যা শুনছেন, তা ভাগে ভাগে মনে রাখার প্রয়াস করুন।
বাঁ হাতে কাজ করার চেষ্টা করুন: ডান হাতে আমরা যে কাজ রোজ করে থাকি, সেটা যদি হঠাৎ বাঁ হাতে শুরু করি, তা হলে মস্তিষ্কের উপর বেশি চাপ পড়বে। এই টোটকাও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বেশ উপকারী।
মনের চাপ কমান: এখন প্রত্যেকের ফোনে সর্বদা নানা নোটিফিকেশন আসতেই থাকে। মেসেজ বা ই-মেল তো আছেই, তার বাইরে নানা অ্যাপের নানা নোটিফিকেশন। এতে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রতিদিন কিছুটা সময় ধ্যান করা যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy