একসঙ্গেই খান মা ও খুদে। ছবি: সংগৃহীত।
সন্তানের জন্ম দেওয়া থেকে তাকে বড় করা। দায়িত্ব অনেক। প্রতিটি জিনিস তাকে শেখানো, তার খেয়াল রাখা, দিনভর কতই না ঝক্কি সামলাতে হয় একজন মাকে। সারা দিনের পরিশ্রমের মধ্যে হয়তো মায়ের খাওয়াটাই ঠিকমতো হয় না।
এমন হলে কিন্তু চলবে না। বরং মা ও সন্তান একসঙ্গে সাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। খুদে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বয়স অনুযায়ী, তাকে নতুন খাবারের সঙ্গে পরিচয় করাতে হবে। শিশুর বয়স ৪-৫ বছর হয়ে গেলে অনেক ধরনের খাবারই খেতেও শিখে যায় সে। তখন বরং পুষ্টিকর খাবার একসঙ্গে খান। খুদেকে বোঝান, কেন সেই খাবার খাওয়া উচিত। মাকে দেখেই সেও শিখবে কোন ধরনের খাবার খেতে হয়।
আমন্ড, খেজুর
সকালটা শুরু করুন ভেজানো আমন্ড ও খেজুর দিয়ে। প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনিশায়মে ভরপুর আমন্ড। শরীর থেকে মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক এই বাদাম। খেজুরে থাকে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ। তবে খুদের জন্যে এক থেকে দুটো বাদাম ও একটা খেজুরই যথেষ্ট। মায়ের ক্ষেত্রে পরিমাণ বেশি হবে।
ফল
ব্লুবেরি থেকে স্ট্রবেরি, কলা, আপেল, লেবু, জাম। প্রতিদিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একটি করে ফল রাখুন খাদ্যতালিকায়। মাকে ফল খেতে দেখলে সন্তানও খেতে শিখবে।
দুধ
দুধ সুষম খাবার। শিশুরা অনেক সময় খেতে চায় না। মা ও খুদে একসঙ্গেই খেতে পারেন দুধ। মাকে খেতে দেখলে সন্তানও আর এ নিয়ে বায়না করতে পারবে না।
পালং শাক
ভাতের পাতে মাঝেমধ্যেই রাখুন পালং শাক। বর্ষার দিনগুলো বাদ দিয়ে অন্য যে কোনও সময়ে ভিটামিন ও খনিজে পরিপূর্ণ পালং শাক খান। খুদেকেও খাওয়া শেখান। এমন কোনও পদ রাঁধুন, যা শিশু ও বড়রা একসঙ্গে খেতে পারবে।
মাছ
বাড়ন্ত বয়সে প্রোটিন খুব প্রয়োজন। প্রোটিনে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ মাছ রাখুন খাবারের তালিকায়। নিজেও খান ও সন্তানকে ধীরে ধীরে বিভিন্ন ধরনের মাছ খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। মাথায় রাখবেন, ডাল জাতীয় শস্যেও প্রোটিন আছে অনেকটাই। দুধে তো আছেই।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু বা রাঙা আলুর পুষ্টিগুণ অনেক। ফাইবার, ভিটামিন এ, সি, পটাসিয়ামে ভরপুর রাঙা আলু শরীর ভাল রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। খুদেরা আলু ভাজা পছন্দ করে। তাদের রাঙা আলুভাজা করে খাওয়াতে পারেন।
মাংস
ধীরে ধীরে মুরগির মাংস খাওয়ানোর অভ্যাস করান শিশুকে। এতে থাকে প্রচুর প্রোটিন। ছোট বলেই কিন্তু সে স্বাদ বোঝে না, এমনটা নয়। রান্না এমন করে করুন, যাতে মা ও খুদে একসঙ্গে খেতে পারে। তেল-ঝাল মশলা কম দিয়ে খেলে শুধু শিশু নয়, মায়ের স্বাস্থ্যও কিন্তু ভাল থাকবে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোন বয়সের শিশুকে কোন খাবার ঠিক কতটা খাওয়াবেন তা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করেই খাওয়ানো উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy