বাড়িতে খাওয়ার অ্যাকোয়াগার্ড কিংবা ফিল্টারটি খারাপ হয়ে গেলেই আমাদের মনে পড়ে ফিটকিরির কথা। জলে ফিটকিরি দিলে অনেক ক্ষতিকর জীবাণু দূর হয়। তবে এ ছাড়া বাড়িতে খুব বেশি ফিটকিরির ব্যবহারের হয় না। কিন্তু এই ফিটকিরি যে রোজের জীবনে আরও নানা কাজে লাগতে পারে, সে কথা জানা আছে কি?

মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে: ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ফলে অনেকের মুখেই দুর্গন্ধ হয়। ফিটকিরি ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। জলে সামান্য নুন মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। তাতে ফিটকিরি গুঁড়ো করে দিয়ে দিন। সেই জল ঠান্ডা করে একটি বোতলে ভরে রাখুন। দিনে তিন থেকে চার বার এই জল দিয়ে কুলকুচি করলে দুর্গন্ধের সমস্যা অনেকটা কমে যাবে।

ত্বকের ক্ষত কমাতে: দাড়ি কাটতে গিয়ে অনেক সময়ই আচমকা ত্বকে ক্ষত হয়ে যায়। কিংবা রান্নাঘরে কাজ করতে করতে হাত কেটে যায়। এই সব বিপদের মুহূর্তে ফিটকিরি আপনার কাজে আসতে পারে। ফিটকিরি লাগিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন জায়গাটা। কোনও রকম সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবে না।

ঘা শুকোতে সাহায্য করে: মুখের ভিতরে কোনও ঘা হলে বেশ বিপাকে পড়তে হয়। এ ক্ষেত্রে ফিটকিরি দিয়েই হতে পারে মুশকিল আসান। একটু জ্বালা করলেও ঘা শুকিয়ে যাবে অল্প সময়েই।

ব্রণর সমস্যা দূর করতে: অনেকেই আছেন যাঁরা সারা বছর ধরে ব্রণের সমস্যায় নাজেহাল হন। এক চামচ মুলতানি মাটি, দু’চামচ ডিমের সাদা অংশ এবং এক চামচ ফিটকিরি গুঁড়ো মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। ব্রণের সমস্যা বাড়লে এটা মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের লালচে ভাব বা ফোলা ভাব কমবে, ব্যথাও কমে যাবে। তবে স্পর্শকাতর ত্বক হলে এটি ব্যবহার না করাই ভাল।

বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে: ত্বকে যৌবনের জেল্লা ধরে রাখতেও ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে জলে ফিটকিরি গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে ফ্রিজে বরফ বানিয়ে নিন। প্রত্যেক দিন এই বরফ মুখে ঘষে নিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দীর্ঘ দিন নিয়মিত এই টোটকা মেনে চললে ত্বক মসৃণ ও টানটান হবে।

ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে: ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতেও দারুণ কাজ করে ফিটকিরি। জলে ফিটকিরির গুঁড়ো মিশিয়ে স্নান করলে ঘামে দুর্গন্ধ হয় না।

দাঁতের সুরক্ষায়: ব্রাশ করলেই দাঁত থেকে রক্ত পড়ে? পায়োরিয়ার সমস্যা আছে? এক গ্রাম ফিটকিরি গুঁড়ো, এক চিমটে দারচিনি গুঁড়ো আর বিট নুন ভাল করে মিশিয়ে মাড়িতে লাগিয়ে নিন। সুফল পাবেন।