বর্ষায় পেটের সমস্যা এড়িয়ে চলবেন কী করে? ছবি: শাটারস্টক
মেঘলা আকাশ, ঝিমঝিম বৃষ্টি, রোদের তেমন জোর নেই। সঙ্গে যদিও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি, ঘাম আছে। বৃষ্টির মরসুম মানেই জল জমা, ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি। সঙ্গে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া আর পেটের সব অসুখ তো আছেই। ছোট থেকে বড়, বর্ষার মরসুম শুরু হলে সকলকেই কমবেশি ভুগতে শুরু করেন পেটের সমস্যায়। ফুড পয়জ়ন, ডায়ারিয়া, বদহজম— এ সব লেগেই থাকে। খাবারে একটু এ দিক থেকে ও দিক হলেই মুশকিল। বর্ষার এই দিনগুলিতে রোগভোগ থেকে কী ভাবে সুরক্ষিত থাকবেন?
১) খাদ্যতালিকায় গরমাগরম খাবার: এই সময় ডায়েটে বেশি করে গরম স্যুপ, ভেষজ চা রাখতে হবে। আদা, পুদিনা, দারচিনি মেশানো চা শরীর কেবল চাঙ্গা করবে না, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। স্যুপে অবশ্যই বেশি করে সব্জি দিতে হবে, শরীর পুষ্ট হলে রোগের সঙ্গে লড়াই করা ক্ষমতা বাড়বে।
২) ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: ডায়েটে বেশি করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কিউয়ি, আঙ্গুর, মুসাম্বি, কমলালেবু, ক্যাপসিকাম, ব্রকোলি রাখলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি অনেক বেশি বেড়ে যায়।
৩) প্রোবায়োটিক খাবার: বর্ষার মরসুমে পেটের গন্ডগোল লেগেই থাকে। এই সময় পেট ঠান্ডা রাখতে ডায়েটে রোজ দই রাখুন। দইয়ের প্রোবায়োটিক পেটে ভাল ব্যাক্টেরিয়া তৈরিতে সাহায্য করে, ফলে হজম ভাল হয়। পেটে সংক্রমণ ঠেকাতে দই, লস্যি, ঘোল, রায়তা বেশি করে ডায়েটে রাখুন।
৪) বাইরের খাবার এড়িয়ে চলা: বাচ্চারা অনেক সময়ই বাইরের খাবার খেতে চায়। কিন্তু এই সময়ে বাইরের খাবার বেশি না খাওয়াই ভাল। এই সময় বিভিন্ন জলবাহিত জীবাণুর প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই বাড়িতেই মুখরোচক খাবারদাবার তৈরি করে দিন সন্তানের জন্য। রেস্তরাঁর খাবার কিংবা ঘুগনি, ফুচকা, আলুকাবলির মতো রাস্তার ধারের খাবার এই সময় এড়িয়ে চলুন।
৫) জল খাওয়া: শরীরের জলের ঘাটতি হলেই রোগের প্রকোপ শরীরে বেশি হয়। তাই এই সময়েও বেশ করে জল খেতে হবে। তবে বাইরে বেরোলে নিজের বোতল সঙ্গে রাখুন, রাস্তার ধারের জল, কিংবা রেস্তরাঁর জল এই সময় একেবারেই খাবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy