—প্রতীকী ছবি।
যে কোনও কারণেই মনের মধ্যে ভয় বা বলা ভাল উদ্বেগের উদ্রেক হতে পারে। ব্যক্তিগত জীবন, পেশায় প্রতিযোগিতার চাপ সামাল দিতে না পারলে উদ্বেগজনিত সমস্যা দেখা দিতে দিতেই পারে। একটু খেয়াল করলেই দেখা যায়, কাজে যাওয়ার তাড়া থাকলেও সকালে ঘুম থেকে উঠতে গড়িমসি করেন অনেকে। বার বার ঘড়ির দিকে তাকান, মোবাইলে একাধিক বার অ্যালার্ম ‘স্নুজ়’ করেন। তবু বিছানা ছাড়তে পারেন না। অনেকের আবার চোখ খোলা মাত্রই শৌচাগারের দিকে দৌড়তে হয়। রাতে সাধারণ খাবার খাওয়ার পরেও পেট মোচড় দেয় অনেকের। এ সবই ‘মর্নিং অ্যাংজ়াইটি’র লক্ষণ হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, সাধারণ অ্যাংজ়াইটির লক্ষণগুলির সঙ্গে ‘মর্নিং অ্যাংজ়াইটি’র খুব বেশি ফারাক নেই। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, যে কেউ এই অ্যাংজ়াইটির শিকার হতে পারেন। আমেরিকার বিখ্যাত মডেল বেলা হাদিদ এক সাক্ষাৎকারে জানান, তাঁরও ‘মর্নিং অ্যাংজ়াইটি’ হয়। এই মুহূর্তে চর্চার শিরোনামে থাকা আরও এক জনপ্রিয় মডেল জিজি হাদিদের বোন বেলা।
‘মর্নিং অ্যাংজ়াইটি’র লক্ষণগুলি ঠিক কী রকম?
১) চোখ খোলা মাত্রই কোনও কারণে মনের মধ্যে ভয়ের উদ্রেক হওয়া। সকালে ঘুম থেকে উঠে সতেজতার অভাব বোধ করেন অনেকেই। কাজেও অনীহা দেখা যায়।
২) কায়িক শ্রম না করেও অনিয়ন্ত্রিত হৃদ্স্পন্দন, শ্বাস নিতে কষ্ট, অকারণেই দরদর ঘাম হওয়া এই ধরনের উদ্বেগের লক্ষণ হতে পারে। ভয়ে, উদ্বেগে অনেকেরই পেট মোচড় দেয়।
৩) বিছানা থেকে নামতে অনীহা দেখা দেয়। কিছুতেই বিছানা ছেড়ে কাজে যোগ দিতে পারেন না, ভয় পান। কোনও না কোনও অজুহাত দিয়ে কাজ থেকে দূরে পালাতে চান।
৪) মাথায় নানা রকমের অহেতুক চিন্তা ভিড় করে আসে। ভবিষ্যতে কী হতে পারে, সেই চিন্তায় উদ্বেগ বাড়তে থাকে। সব সময়ে মনের মধ্যে নেতিবাচক ভাবনা চলতে থাকে।
৫) সামান্য কথায় রেগে যাওয়া, সাধারণ যে কোনও সমস্যা নিয়ে দোলাচলে থাকা, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা— ‘মর্নিং অ্যাংজ়াইটি’র লক্ষণ হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy