হেঁটেই রোগা হওয়া সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমাতে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। শারীরিক কসরত না করলে রোগা হওয়ার সব চেষ্টাই বিফলে যায়। তবে রোগা হওয়ার একমাত্র পথ জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানো নয়। নিয়ম করে হাঁটলেই রোগা হওয়া যায়। ওজন কমাতে যতই অনেকে জিমে গিয়ে লোহালক্কড় টানায় বেশি ভরসা রাখুন, এ ক্ষেত্রে হাঁটাচলার সত্যিই কোনও বিকল্প নেই। এক মাস জিমে গিয়ে শরীরচর্চার বদলে, মাসখানেক হাঁটলে অনেক বেশি সুফল পাওয়া যায়। কিন্তু কেন?
১) জিমে হোক কিংবা বাড়িতে, শরীরচর্চায় আলসেমি আছে অনেকেরই। সাতসকালে ঘুম থেকে উঠে শরীরচর্চার কথা ভাবলেই একরাশ বিরক্তি গ্রাস করে। তুলনায় হাঁটতে যেতে পছন্দ করেন অনেকেই। ফলে ব্যায়াম, যোগাসনের বিকল্প নিঃসন্দেহে হাঁটা। টানা ৩০ মিনিট হাঁটলেই অনেকটা উপকার পাওয়া যায়।
২) জিমে গিয়ে ঘণ্টাখানেকের শারীরিক কসরতের সমান হল ৩০ মিনিট ঘাম ঝরিয়ে হাঁটা। হাঁটলে পেটের মেদ ঝরে সহজেই। ভিতর থকে চাঙ্গা থাকে শরীর। শরীরে জমে থাকা বাড়তি মেদ কয়েক দিনেই ঝরে যায় হাঁটাচলা করলে।
৩) অস্থিসন্ধির ব্যথায় ভোগেন অনেকেই। তাঁদের পক্ষে জিমে গিয়ে কিংবা ভারী কোনও শরীরচর্চা করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে হাঁটাচলাই একমাত্র পথ। হাঁটলে পেশির নমনীয়তা বজায় থাকে। আলাদা করে চোট পাওয়ারও আশঙ্কা থাকে না।
৪) শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে না, হাঁটলে মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে। মানসিক অস্থিরতা থেকেও ওজন বাড়তে পারে। তাই শরীরের পাশাপাশি মনের খেয়ালও রাখতে হবে। হাঁটলে অক্সিটোসিন হরমোন ক্ষরণ হয়। এই হরমোন মানসিক ভাবে আনন্দে থাকতে সাহায্য করে।
৫) শুধু যে কমবয়সিদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি তা তো নয়। বার্ধক্যেও ওজনে রাশ টানা জরুরি। কিন্তু বয়স বাড়লে জিমে গিয়ে শরীরচর্চার সুযোগ থাকে না। তখন ফিট থাকতে হাঁটা একমাত্র ভরসা। হাঁটাচলা এমন একটি শরীরচর্চা যা সব বয়সে সুষ্ঠু ভাবে করা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy