রাজ্যে আবার অল্প অল্প করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ছবি: সংগৃহীত
রাজ্যে বেশ কয়েক মাস বেশ স্তিমিত ছিল করোনা পরিস্থিতি। হাতেগোনা কয়েক জন আক্রান্ত হলেও তা উদ্বেগের কারণ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু গত কয়েক দিনের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে আবার অল্প অল্প করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত কয়েক দিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩৬২ জন। গত শনিবার, ১৮ জুন দেশে কোভিডে সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার পার করে। মহানগরীর বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার পরিসংখ্যানেও সংক্রমণ বৃদ্ধির ছবিই উঠে আসছে। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তিও হচ্ছেন অনেকেই।
ফের কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণগুলি কী?
১) মাস্ক না পরা: এ বছরের শুরুর দিকে কোভিডের দাপট কমায় অনেকেই ভেবেছিলেন, করোনা বুঝি বিদায় নিল। সেই ভাবনাকে মাথায় রেখেই মাস্ক পরার অভ্যাসে ত্যাগ করার প্রবণতা তৈরি হয় অনেকের মধ্যেই। রাস্তাঘাটে, গণপরিবহনগুলিতে একটা বড় অংশের মানুষকে মাস্কহীন অবস্থায় দেখা যাচ্ছে এখনও। অসচেতনতাই নতুন করে কোভিড সংক্রমণের একটা বড় কারণ।
২) দূরত্ববিধি বজায় না রাখা: কোভিড সংক্রমণ কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় শিকেয় উঠেছিল কোভিডবিধি। ফলে উৎসব, অনুষ্ঠানে একসঙ্গে অনেক মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন। বাসে, ট্রেনে, ট্রামেও মানা হয়নি কোনও শারীরিক দূরত্ব। যার ফলস্বরূপ ফের দেশজুড়ে সক্রিয় হয়ে উঠছে করোনা সংক্রমণ।
৩) স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা: কোভিড সংক্রমণ নিম্নগামী হতেই বারে বারে স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশের ব্যবহারও কমেছে। বাইরে থেকে ফিরে হাত-পা ধোয়া, সাবান জলে পোশাক কেচে নেওয়ার মতো সুরক্ষাবিধিও মানা ছেড়ে দিয়েছেন অনেকেই। করোনা সংক্রমণ বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে এই কারণটিও।
৪) ঠান্ডা লাগা ভেবে কোভিড উপসর্গ এড়িয়ে যাওয়া: সর্দি, কাশি, জ্বর হলেও তা বৃষ্টিতে ভিজে বা এসির হাওয়া থেকে ঠান্ডা লেগে হয়েছে বলেই ধরে নিচ্ছেন অনেকে। চিকিৎসকরা বারবার বলেছেন, কোভিড এখনও নির্মূল হয়নি। ফলে সামান্য সর্দি, জ্বর, কাশি, গলা ব্যথার মতো উপসর্গ এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। কোভিড সংক্রান্ত একটিও উপসর্গ লক্ষ করলে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াটা জরুরি। পজিটিভ এলে নিভৃতবাসে থাকুন। নয়তো ফের দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়বে কোভিড।
৫) করোনা টিকা না নেওয়া: কোভিড টিকা না নেওয়া মানুষের সংখ্যা কম হলেও একেবারে শূন্য নয়। বিগত করোনা স্ফীতিতে হাসপাতালগামী রোগীর সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কারণই ছিল কোভিড টিকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার সঙ্গে লড়াই করার অন্যতম অস্ত্র টিকাকরণ। টিকা নিয়ে আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে সকলের কোভিড টিকা এবং বুস্টার নেওয়া উচিত।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy