কায়িক পরিশ্রম করলে হাঁপিয়ে যাওয়া বা বুক ধড়ফড় করা স্বাভাবিক ব্যাপার। ছবি: সংগৃহীত।
হৃদ্স্পন্দন বা হার্টবিটের নির্দিষ্ট একটি ছন্দ আছে। ঘড়ির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে সেই হার্টবিট। সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষের হার্টবিট ৬০ থেকে ১০০-র মধ্যে ঘোরাফেরা করে। এই মাত্রার হেরফের হলেই অনিয়মিত হৃদ্স্পন্দনের সমস্যা দেখা যায়। এই সমস্যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় কার্ডিয়াক অ্যারিদমিয়া বলা হয়। কায়িক পরিশ্রম করলে বা ভারী জিনিস নাড়াচাড়া করলে হাঁপিয়ে যাওয়া বা বুক ধড়ফড় করা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু স্বাভাবিক কারণে যদি প্রায় দিনই বুক ধড়ফড় করে, তার সঙ্গে গুরুতর কোনও শারীরিক সমস্যার যোগ থাকলেও থাকতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া এবং জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনতে পারলেই এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে।
১) নিয়মিত শরীরচর্চা করা
কাজের মধ্যে বেশি সময় না পেলেও দিনে অন্তত আধঘণ্টা সময় বার করে নিতে চেষ্টা করুন। সামান্য হাঁটাহাটি, হালকা যোগাসনেই অনিয়মিত হৃদ্স্পন্দন-সহ হার্টের অনেক সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে।
২) মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
নিত্য দিন বাড়তে থাকা কাজের চাপ মনের উপরেও প্রভাব ফেলে। যেখান থেকেও অনিয়মিত হৃদ্স্পন্দনের মতো সমস্যা দেখা যায়। নিয়মিত ধ্যান, যোগাসন, প্রাণায়ামের মতো চর্চা করলে এই সমস্যা বশে থাকবে।
৩) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
বয়স এবং শরীরের উচ্চতা অনুযায়ী দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। অনেক সময়ে ওজন বেশি হলেও বুক ধড়ফড়ানির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। দেহের ওজন বেশি থাকলে রক্তে কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিসের মতো সমস্যাও বৃদ্ধি পেতে পারে।
৪) পর্যাপ্ত ঘুম
সুস্থ থাকতে গেলে প্রতি দিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। অনিয়মিত হৃদ্স্পন্দনের সমস্যা অত্যধিক হারে বেড়ে যেতে পারে, যদি দিনের পর দিন ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে।
৫) আর্দ্রতা বজায় রাখা
সারা দিনে পর্যাপ্ত জল না খেলে শরীরে ইলেক্ট্রলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়। রক্তে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজের মাত্রায় হেরফের হলে হৃদ্স্পন্দনের গতি শ্লথ হয়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy