ছবি: প্রতীকী
সকালে কাজে বেরোনোর সময়ে একসঙ্গে প্রেশার কুকারে সব সব্জি, চাল, আলু দিয়ে সেদ্ধ চাপিয়ে দিলেন। কিন্তু খেতে গিয়ে দেখলেন, স্বাদ কেমন যেন পাল্টে গিয়েছে। আবার, আলু ভাজার পরেও অনেক সময়ে ভিতরটা কাঁচা থেকে যায়। তাই সেদ্ধ করে ছাঁকা তেলে আলু ভাজেন অনেকে। তবে তাড়াহুড়োর সময়ে তো এত কিছু করা যায় না, এক কাজে দু’কাজ হবে বলে প্রেশার কুকারে আলু ভাজতে গেলেন। এই অভ্যাস যে স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়, তা একবাক্যে স্বীকার করেছেন বৈজ্ঞানিক, পুষ্টিবিদেরা। জানেন আর কোন কোন খাবার প্রেশার কুকারে রান্না করা যায় না?
১) ভাজা খাবার
আলু সেদ্ধ করে তার পর ভাজার সময় নেই। তাই সেদ্ধ এবং ভাজা একসঙ্গেই করতে প্রেশার কুকার ব্যবহার করেন। ঢিমে আঁচে খাবার সেদ্ধ করার জন্য প্রেশার কুকার ব্যবহার করা হলেও ভাজার জন্য এই পদ্ধতি মোটেও ভাল নয়।
২) নুডল্স
ময়দা দিয়ে তৈরি ‘নুডল্স’ প্রেশার কুকারে রান্না করলে তা গলে যেতে পারে। সেদ্ধ চাউমিনের বদলে তা ময়দা গোলা মিশ্রণে পরিণত করে।
৩) ভাত
তাড়াতাড়ি রান্না করার জন্য অনেকেই প্রেশার কুকারে ভাত বানান। এই বাসনে রান্না করলে, ভাতের মাড় আলাদা করে ফেলা যায় না। মাড়-সহ ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, রান্না করার সময়ে স্টার্চ থেকে ‘অ্যাক্রাইলেমাইড’ নামক এক প্রকার রাসায়নিক নির্গত হয়। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
৪) আলু
প্রেশার কুকারে হামেশাই আলু সেদ্ধ করেন? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এর ফলে আলুতে স্টার্চের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা শরীরে গিয়ে নানাবিধ রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
৫) মাছ
বাঙালিরা সাধারণত মাছ ভেজেই খেতে পছন্দ করেন। তবে স্বাস্থ্য সচেতন কেউ যদি মাছ প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে খেতে চান, তা হলে মাছের স্বাদ বিকৃত হতে পারে, এমনটা ধরে নিয়েই রান্না করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy