সঠিক সময়ে ও পরিমাণে ঋতুস্রাব শারীরিক সুস্থতার লক্ষণ। ছবি: সংগৃহীত
ঋতুস্রাবের ধরন দেখে অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক অবস্থা নির্ণয় করা যায়। মাসের কয়েকটি দিন ঋতুস্রাবের কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। পেশিতে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, রক্তপাত তো আছেই। ঋতুচক্রের স্বাভাবিক সময় হল ২৮ দিন। নির্দিষ্ট সময়ের সাত দিন আগে-পরে ঋতুস্রাব হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে সময়ের ব্যবধানটা যদি বেড়ে যায়, তা হলে সে দিকে আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। সঠিক সময়ে ও পরিমাণে ঋতুস্রাব শারীরিক সুস্থতার লক্ষণ। তবে কিছু অস্বাভাবিকতা বিপদের লক্ষণ হতে পারে। সেগুলি লক্ষ করলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ঋতুস্রাবের কী কী পরিবর্তন দেখলে সচেতন হবেন?
১) ঋতুস্রাবের সময় পেটে ব্যথা অনেকেরই হয়ে থাকে। তবে প্রথম দু’দিন এই ব্যথা খুব বেশি ভোগায়। তৃতীয় দিন থেকে ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তবে কারও ক্ষেত্রে যদি ব্যথা ঋতুস্রাবের শেষ দিন পর্যন্ত থাকে তা হলে তা আলাদা করে নজর দেওয়া জরুরি।
২) ঋতুস্রাবের রং জানান দেয় শরীরের হাল। ঋতুস্রাবের রং লাল হলে তা সুস্বাস্থ্যের ইঙ্গিত দেয়। তবে ঋতুস্রাবের রং যদি কালচে বা অন্য কোনও রঙের হয় তা হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩) ঋতুস্রাবের স্বাভাবিক প্রবাহ সাধারণত ৬০-৮০ মিলিলিটার। ঋতুস্রাবের প্রথম দুই থেকে তিন দিন স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় থাকে। তার পর থেকে ক্রমশ কমে আসে। তবে ঋতুস্রাবের শেষ দিন পর্যন্ত যদি একই প্রবাহ চলতে থাকে তা হলে তা চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
৪) ঋতুস্রাবের স্বাভাবিক চক্র ২১ থেকে ৩৫ দিন। ঋতুস্রাব ধারাবাহিক ভাবে হচ্ছে কি না সেটা লক্ষ রাখা প্রয়োজন। কয়েক মাস অন্তর যদি ঋতুস্রাব হয়ে থাকে তা হলে তা সত্যিই ভাবনার বিষয়। সিস্ট, টিউমার অন্যান্য আরও অনেক কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। তাই এই বিষয়টিকে একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত হবে না।
৫) নির্দিষ্ট তারিখে ঋতুস্রাব না হলে তা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার লক্ষণ না। অন্যান্য কারণে সময়ে ঋতুস্রাব না হতে পারে। মানসিক চাপ, পিসিওডি, স্থূলতা, অতিরিক্ত শরীরচর্চার কারণে দেরিতে ঋতুস্রাব হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy