পেশাদার রূপটান শিল্পী নন। তবে ইন্টারনেট ঘেঁটে মোটামুটি আন্দাজ হয়েছে, কার পর কোনটি মাখতে হয়। ধৈর্য ধরে, নিয়ম মেনে সব ক’টি পর্যায় মেনে মেকআপ করেন। কিন্তু মেকআপ করার কিছু ক্ষণ পরেই মুখে অদ্ভুত ভাবে ফাটল ধরতে শুরু করে। কষ্ট করে হাসি চেপে থাকলেও সমস্যা সেই তিমিরেই থেকে যায়। তবে রূপটান শিল্পীরা বলছেন, মেকআপের ফাটল রুখতে শুধু পদ্ধতি নয়, কনসিলারের ধরন সম্পর্কেও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:
কনসিলার ব্যবহার করার আগে ত্বকের যত্ন:
মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে তার উপর কনসিলার মেখে নেওয়া যায় না। মেকআপ করার আগে ত্বকের যথাযথ যত্ন নিতে হবে। মুখে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করার আগে ত্বকের ধরন বুঝে ভাল মানের কোনও ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতে হবে। তার পর চাইলে প্রাইমারও মাখা যায়। চোখের চারপাশে আইক্রিম মেখে নিলে ভাল হয়। তবে সবই খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।
ত্বক বুঝে সঠিক প্রসাধনী নির্বাচন করা:
কনসিলারেরও নানা প্রকার রয়েছে। ত্বকের ধরন এবং কার্যক্ষমতা বুঝে কনসিলার নির্বাচন করতে হয়। ধরা যাক, কারও ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত। সে ক্ষেত্রে তরল কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন। আবার কারও ত্বক যদি শুষ্ক হয়, সে ক্ষেত্রে ক্রিম বেস্ড কনসিলার ব্যবহার করাই ভাল। ফাউন্ডেশনের চেয়ে কনসিলারের রং এক ধাপ বেশি উজ্জ্বল হওয়াই বাঞ্ছনীয়। তবে মুখকে আরও শানিত করতে গেলে কনট্যুর করতে হয়। সে ক্ষেত্রে গাঢ় খয়েরি রঙের কনসিলার বেছে নেওয়াই ভাল।
আরও পড়ুন:
প্রয়োগবিধি:
মাখার ভুলেও কিন্তু কনসিলারে ফাটল ধরতে পারে। তবে রূপটান শিল্পীরা বলছেন, কনসিলার মাখার পদ্ধতি নির্বাচন করতে হয় ত্বক এবং প্রসাধনীর ধরন বুঝে। কোনও কোনও পেশাদার শিল্পী ব্রাশের সাহায্যে কনসিলার ব্লেন্ড করেন। আবার, কেউ হাতের আঙুল দিয়েই মেকআপ ব্লেন্ড করতে স্বচ্ছন্দ। তাই কে কী ভাবে মুখে কনসিলার মাখবেন, তা কিছুটা দক্ষতার উপরেও নির্ভর করে।
কনসিলার মাখার আগে মুখে ফাউন্ডেশনের প্রলেপ দিতে হয়। ফাউন্ডেশনের পরত যেন খুব পুরু না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কনসিলার ব্যবহার করার পর সেটিং পাউডার দিয়ে মেকআপ সেট করে নিতে হবে।