কখন দুধ খেলে পেটের সমস্যা হবে না? ছবি- সংগৃহীত
হাড় ভাল রাখতে, শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে দুধের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দুধ যে কোনও বয়সের জন্যই পুষ্টিকর পানীয় বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেকের পেটে দুধ সহ্য হয় না। অনেকের আবার দুধ খেলে অ্যালার্জিও হয়।
যাঁদের হজমের সমস্যা আছে, তাঁদের খালি পেটে দুধ খেতে একেবারেই বারণ করেন চিকিৎসকরা। কারণ, অনেক ক্ষণ কিছু না খেয়ে, হঠাৎ দুধ খেলে গ্যাস বা অম্বলের আশঙ্কা বাড়তেই পারে। আবার অনেকেরই রাতে উষ্ণ দুধ খেয়ে ঘুমানোর অভ্যাস। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এই অভ্যাসটিই শরীরের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে।
বিশেষ করে ৩০-এর পর থেকেই হজম সংক্রান্ত সমস্যা বাড়তে থাকে। কারণ, পাঁচ বছর বয়সের পর থেকে ‘ল্যাক্টেজ়’ উৎসেচকের ক্ষরণ কমতে থাকে। বয়স ৩০-এর কাছাকাছি পৌঁছলে ‘ল্যাক্টেজ়’ ক্ষরণ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।
ক্ষুদ্রান্ত্রে থাকা ‘ল্যাক্টেজ়’ নামক উৎসেচকটি দুধে থাকা ল্যাক্টোজ়কে ছোট ছোট যৌগে ভাঙতে সাহায্য করে। যাতে শর্করা এবং গ্যালাক্টোজ় সহজেই শোষিত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ক্ষুদ্রান্তে ওই উৎসেচক না থাকায়, দুধ সরাসরি বৃহদন্ত্রে গিয়ে পৌঁছয় এবং সেখানে উপস্থিত ব্যাক্টেরিয়াগুলির কারণেই বদহজম হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
চিকিৎসকদের মতে, হজমের সমস্যা না থাকলেও রাতে শুতে যাওয়ার আগে দুধ খাওয়ার অভ্যাস না করলেই ভাল হয়। যদিও একদল চিকিৎসকের মতে, দুধে থাকা ট্রিপটোফ্যান, সেরেটনিন হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। যা মেলাটনিনের মাত্রা বাড়িয়ে অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর করে।
তবে চিকিৎসকরা এ কথাও বলেছেন যে, সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দুধ খেতেই হবে। কিন্তু যদি রাতে দুধ খেতে হয়, সে ক্ষেত্রে শুতে যাওয়ার অন্তত পক্ষে ঘণ্টা তিনেক আগে খেতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy