Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Dental Care

Oral health: দুধের দাঁতকে অবহেলা নয়, শিশুর দাঁতের যত্ন নিন গোড়া থেকেই

স্পষ্ট উচ্চারণ, চোয়ালের গঠন ও মুখের আকৃতি ঠিক রাখা এবং স্থায়ী দাঁত সঠিক জায়গায় বেরোনোর বিষয়ও শিশুর দুধের দাঁতের উপর নির্ভরশীল।

শিশুরা আদৌ ঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ করছে কি না সেটা নজরে রাখা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

শিশুরা আদৌ ঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ করছে কি না সেটা নজরে রাখা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:১৫
Share: Save:

শিশুরা সাধারণত কেক, চকোলেট খেতেই বেশি পছন্দ করে। আর এই মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকেই শুরু হয় তাদের দাঁতের সমস্যা। বয়স যত বাড়ে ততই জাঁকিয়ে বসে এই সমস্যাগুলি। বাসা বাঁধে ক্যাভিটি।

স্পষ্ট উচ্চারণ, চোয়ালের গঠন ও মুখের আকৃতি ঠিক রাখা এবং স্থায়ী দাঁত সঠিক জায়গায় বেরোনোর বিষয়টিও শিশুর দুধের দাঁতের উপর নির্ভরশীল। শিশুর আত্মবিশ্বাস, স্মৃতিশক্তি, প্রাণচঞ্চলতা, লেখাপড়ায় মনোনিবেশসহ মানসিক বিকাশেও দুধের দাঁত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই শিশুর দাতেঁর যত্নে সচেতন থাকতে হবে অবিভাবকদের।

দন্ত চিকিত্সকদের মতে, শিশুর দাঁতের যত্ন নেওয়ার সময় অবিভাবকরা বেশ কিছু ভুল করে থাকেন। আপনিও এই ভুলগুলি করেন না তো?

১। শিশুরা নিজে থেকে ব্রাশ করতে পারলেই অবিভাবকরা আর সে দিকে নজর দেন না। শিশুরা আদৌ ঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ করছে কি না সেটা নজরে রাখা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। দন্ত চিকিত্সকদের মতে ছয় থেকে সাত বছর পর্যন্ত অবিভাবকরাই সেই দায়িত্ব পালন করলে সবচেয়ে ভাল।

২। শিশুদের ফিডারে দুধ খাওয়ালে তাদের মাড়ি উঁচু হয়ে যেতে পারে। মুখে ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশনও হতে পারে ফিডার ব্যবহারে। তাই দুধ খাওয়ানোর পরপরই একটি আঙুলে পরিষ্কার সুতির কাপড় নিয়ে মুখ পরিষ্কার করে দিতে হবে। ফিডারের পরিবর্তে শিশুদের চামচ দিয়ে দুধ খাওয়ানোই বেশি ভাল। এ ছাড়া ফিঙ্গার ব্রাশ দিয়েও শিশুর মুখ ও দাঁত পরিষ্কার করা যেতে পারে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

৩। অনেক শিশুই সারা ক্ষণ মুখে আঙুল দিয়ে থাকে। এতে দাঁত উঁচু-নিচু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শিশুর কথা বলার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা যায়। শিশুর এই অভ্যাস এখনই বদল করুন।

৪। ভাল দাঁতের জন্য কিন্তু শিশুর খাওয়া-দাওয়ার উপরেও নজর রাখতে হবে৷ অতিরিক্ত মিষ্টি, চকোলেট জাতীয় চটচটে খাবার না খাওয়াই ভাল৷ কারণ মুখের লালারস দাঁত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে৷ অনবরত মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে থাকলে সেই সম্ভাবনাটা কমে যায়৷

৫। খাওয়ার সময় টিভি দেখানোর ছলে না খাইয়ে সকলে মিলে একসঙ্গে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে বাচ্চার চিবিয়ে খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হবে। এবং খাবার চিবিয়ে খেলে দাঁতও মজবুত হবে।

৬। আপনার সন্তান বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের টুথব্রাশ নিজেকেই বেছে নিতে দিন। বাজারে এখন নানা ধরনের রঙিন ব্রাশ পাওয়া যায়। পছন্দের ব্রাশ পেলে নিজেই তারা সময় মতো দাঁত মাজার প্রতি উৎসাহী হয়ে উঠবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Dental Care Dental Problem oral health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy