সন্তানদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবকদের। ছবি: শাটরস্টক।
কোভিড উদ্বেগ যত বাড়ছে ততই সন্তানদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবকদের। সম্প্রতি কিশোর কিশোরীদের টিকাকরণের ব্যবস্থা শুরু হলেও সিংহভাগ শিশুই এখনও টিকা পায়নি। স্বাভাবিক ভাবেই যে প্রশ্ন বাবা মায়েদের মনে ঘুরে ফিরে আসছে তা হল, ওমিক্রন কি এই অবস্থায় শিশুদের উপর বাড়তি আক্রমণ করবে? আনন্দবাজার অনলাইনের ইউটিউব ও ফেসবুক লাইভের ‘ভরসা থাকুক’ অনুষ্ঠানে সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন প্রখ্যাত চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী।
অভিজিৎবাবু জানালেন, “আমরা প্রায় গত আট মাস ধরে বাচ্চাদের বুকে আঁকড়ে দিন কাটাচ্ছি। আমরা প্রথম থেকেই শুনছিলাম, তৃতীয় ঢেউ মানেই বাচ্চাদের ঢেউ। যার ফলে আমরা ভীষন আতঙ্কে ছিলাম।” কিন্তু তিনি এ-ও জানান, “এটি কার্যত পরীক্ষিত সত্য যে বাচ্চাদের উপর ওমিক্রন আলাদা করে বেশি প্রভাব ফেলবে এমন কোনও ইঙ্গিত নেই।”
বরং আতঙ্কিত না হওয়াই কাজের কাজ বলে অভিজিৎবাবুর মন্তব্য, “সাধারণত করোনার বাচ্চাদের উপর অত্যাচার করার ক্ষমতা আপেক্ষিক ভাবে কম। সুতরাং এটা ভেবে রাখাই ভাল যে বাচ্চারা অতটাও ঝামেলায় পড়বে না।” অন্তত প্রাক অভিজ্ঞতা এমন বলছে বলেই মত তাঁর।
পাশাপাশি স্তন্যদায়িনী মা যদি কোভিড আক্রান্ত হন তা হলে কি তিনি সন্তানকে স্তন্যপান করাতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসক সরকার জানান, এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনও নিয়মকানুন নেই। তবে ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর মত, “স্তন্যপান থেকে শিশুকে বঞ্চিত করার কোনও অধিকার আমাদের নেই। কারণ মা যদি কোভিড আক্রান্ত হন তা হলে আমাদের ধরেই নিতে হবে সন্তানটিও কোভিড আক্রান্ত হয়েছে বা হবে।” পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য সাধারণ ভাবে দেখা গিয়েছে যে কোভিড আক্রান্ত হলেও শিশুরা হেসে খেলে কোভিড থেকে মুক্তিও পেয়ে যায়। কাজেই তিনি ব্যক্তিগত ভাবে সদ্যজাত শিশুকে স্তনদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত করার বিরোধী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy