Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Benefits of Dash Diet

হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি এড়াতে চান? কোন ডায়েট মেনে চললে সুস্থ থাকবেন, কী বলছেন চিকিৎসকরা?

হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ রাখতে হলে ডায়েটে বদল আনা ভীষণ জরুরি। অ্যামেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, হৃদ্‌যন্ত্র ভাল রাখতে সবচেয়ে ভল ডায়েট হল ড্যাশ ডায়েট। কী কী নিয়ম মানতে হয় এই ডায়েটে?

heart Health

কম বয়সেই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হচ্ছেন, এমন রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। ছবি: প্রতীকী

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৩ ১১:৩৪
Share: Save:

খাদ্যাভাসে অনিয়ম বাড়িয়ে দেয় হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি। তেল-মশলাদার খাবার, ভাজাভুজি, রোজ রোজ রেস্তরাঁর খাবার খাওয়া, প্রক্রিয়াত ও প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া— রোজের খাবারে এই সব ভুলভ্রান্তি হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কম বয়সেই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হচ্ছেন এমন রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ রাখতে হলে ডায়েটে বদল আনা ভীষণ জরুরি। অ্যামেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, হৃদ্‌যন্ত্র ভাল রাখতে সবচেয়ে ভাল ডায়েট হল ড্যাশ ডায়েট।

ড্যাশ ডায়েট কাকে বলে?

এই প্রকার ডায়েটে মূলত খাদ্যাভ্যাসে বদল এনে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। ডায়েটে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে রাখা হয়— এই সব খনিজ উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই ডায়েটে সোডিয়াম, স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং চিনি খাওয়ার পরিমাণকেও সীমিত করা হয়।

নুনের প্রধান উপাদান সোডিয়াম। এমনিতে আমরা গড়ে ৩৪০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম খাই, এই ডায়েটে ২৩০০ মিলিগ্রামের বেশি খাওয়া চলবে না। শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে কিছু ক্ষেত্রে পুষ্টিবিবিদেরা ডায়েটে সোডিয়ামের মাত্রা ১৫০০ মিলিগ্রামের কম করে দেন। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়াতে হয় পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের জোগান৷ বেশি করে শাকসব্জি, ফল ও লো–ফ্যাট দুধ খেতে হয়। সঙ্গে মাপ মতো ভাত, রুটি, ডাল, বিন্‌স, মাছ, মুরগি, ডিম ও সপ্তাহে ৫–৬ দিন অল্প বাদাম ও বীজ৷ খাবারে মোট ফ্যাট, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরল কম রাখতে হয় বলে রেডমিট, ভাজাভুজি, মিষ্টি খুব কম থাকে ডায়েটে। সামুদ্রিক ও তৈলাক্ত মাছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে বলে ঘন ঘন খাওয়া ভাল।

heart

ড্যাশ ডায়েটে মূলত খাদ্যাভ্যাসে বদল এনে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। ছবি: শাটারস্টক

কাজকর্ম বাড়ান। বাড়ান চলাফেরার মাত্রা। দিনে ৩০–৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন। ডায়েটিংয়ের পাশাপাশি হালকা শরীরচর্চা করলেও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে, ফলে হৃদ্‌যন্ত্র ভাল থাকবে ওজন তো কমবেই৷ যে কোনও ডায়েট শুরু করার আগে পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। নিজের বুদ্ধি মতো কিংবা ইন্টারনেটের উপর ভরসা করে ডায়েট করলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই সে ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল।

অন্য বিষয়গুলি:

Heart care
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE