ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে উঠে এল নয়া তথ্য। ছবি: সংগৃহীত
কোভিডকালে লকডাউনের প্রভাবে দৈনন্দিন কাজকর্মের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অসুবিধায় পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু জানেন কি, কড়া কোভিড বিধি শুধু করোনা নয়, উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে ডেঙ্গি প্রতিরোধেও? অন্তত এমনটাই দাবি করা হয়েছে ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অতিমারি বিশেষজ্ঞ অলিভার ব্র্যাডির নেতৃত্বে কোভিডকালে লাতিন আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশের ডেঙ্গি পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হয় এই গবেষণায়। গবেষণাটি বলছে, ২০১৯ সালে গোটা বিশ্বে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছিল ৫০ লক্ষেরও বেশি। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে কোভিড অতিমারির প্রথম বছর অর্থাৎ ২০২০-তে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক ধাক্কায় কমে হয়েছে ৭ লক্ষ ২০ হাজারের কাছাকাছি।
এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায় ডেঙ্গি। এই মশা এক জন ডেঙ্গি-আক্রান্ত রোগীর দেহ থেকে রক্ত পান করার পর কোনও সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ালে দ্বিতীয় ব্যক্তির রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডের সময় চলা লকডাউনের ফলে মানুষের যাতায়াতের উপর আরোপিত হয়েছিল একাধিক নিষেধাজ্ঞা। ফলে বহু মানুষই বাড়ির বাইরে বার হননি এবং ডেঙ্গি রোগীকে কামড়ানো মশার নাগালেও আসেননি। গবেষকরা বলছেন, অফিস-বিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাও অনেকটাই সাহায্য করেছে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত রোধ করতে। যে হেতু ডেঙ্গির মশা মূলত দিনের বেলা কামড়ায় ও দিনের বেলা এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলিতে বহু মানুষের সমাগম হয় তাই রোগটি ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় অনেকটাই। বর্তমানে গবেষণার দ্বিতীয় ধাপে ২০২১ সালের ডেঙ্গির তথ্য নিয়ে গবেষণা চলছে। গবেষকদের আশা, এই নতুন তথ্য বিশ্লেষণ করলে আরও স্পষ্ট হবে গোটা ব্যাপারটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy