— প্রতীকী চিত্র।
তাড়াহুড়ো করে আসতে গিয়ে সজোরে ধাক্কা খেয়েছেন। ছুটে গিয়ে ফ্রিজ থেকে বরফ বার করে কিছু ক্ষণ ঘষে নিলেন। আবার ধরা যাক, স্নানঘরে সাবানের ফেনায় পা পিছলে পড়ে গিয়েছিলেন। কোমরে নিদারুণ চোট লেগেছিল। মাসখানেক পরেও সেই ব্যথা মাঝেমধ্যেই চাগাড় দিয়ে উঠছে। প্রথম দিকে ব্যথা কমানোর ওষুধ খেলেও এখন হট ব্যাগের সেঁকের উপরেই ভরসা করতে হচ্ছে। কারণ ব্যথা কমানোর ওষুধ বেশি খাওয়া মোটেই ভাল নয়। তাতে আরাম যে হচ্ছে না তা নয়। তবে কোন ব্যথায় কী রকম সেঁক দেওয়া উচিত, সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। চিকিৎসকেরা বলেন, খেলতে গিয়ে, ধাক্কা লেগে রক্ত জমে গেলে ঠান্ডা সেঁক দেওয়াই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু হাড়ের বা পেশির ব্যথা কমাতে গেলে কিন্তু গরম সেঁক কার্যকরী।
আঘাত লাগা জায়গায় কী ভাবে গরম সেঁক দেবেন?
এখন তো কারও বাড়িতেই হ্যারিকেন থাকে না। অগত্যা চাটু বা কড়াইতে শুকনো তোয়ালে গরম করে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে সেঁক দেওয়া যেতে পারে। না হলে তোয়ালে গরম জলে ভিজিয়ে নিঙড়ে নিয়েও সেঁক দেওয়া যায়। আবার অনেকেই হট ব্যাগে গরম জল ভরে বা বৈদ্যুতিক প্যাড দিয়েও অনেকে সেঁক দেন।
গরম সেঁক দেওয়ার আগে কী কী মাথায় রাখতে হবে?
১) গরম সেঁকে আঘাত পাওয়া অংশে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ে। তাতে ব্যথা দ্রুত কমে।
২) মূলত হাড়ের সংযোগস্থলের ব্যথা বা পেশিতে টান ধরার ব্যথায় এটি খুব কার্যকর।
৩) দেহের সব অংশে গরম সেঁক দেওয়া যায় না। তাই কোথায় সেঁক দেবেন, সেই বিষয়ে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়াই ভাল।
আঘাত লাগা জায়গায় কী ভাবে ঠান্ডা সেঁক দেবেন?
আঘাত লেগে ত্বকের উপর রক্ত জমাট বাঁধলে বরফের সেঁক দেন অনেকেই। কেউ আবার রাবারের আইস ব্যাগে বরফ ভরেও ঠান্ডা সেঁক দেন। খেলতে গিয়ে চোট লাগলেও বরফ সেঁক দেওয়া হয়।
ঠান্ডা সেঁক দেওয়ার আগে কী কী মাথায় রাখবেন?
১) প্রচণ্ড জোরে আঘাত লাগলে সেই ব্যথা সহ্য করতে না পারলে ঠান্ডা সেঁক দেওয়া যেতে পারে। কারণ, প্রাথমিক ভাবে আঘাত লাগা স্থান অসাড় করে দিতে পারে বরফ। আর তাতেই ব্যথা সাময়িক ভাবে কমে যায়।
২) ফোলা ভাব বা প্রদাহ কমাতে ঠান্ডা সেঁক দেওয়া হয়।
৩) রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে ঠান্ডা সেঁক।
৪) গরম সেঁকের তুলনায় ঠান্ডা বরফের সেঁক নিরাপদ। তবু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy