পেশি ফোলানোর ইঞ্জেকশনই কাল হল? ছবি: সংগৃহীত
আসল নাম ভালদির সেগাতো, কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তাঁকে চিনতেন ‘ব্রাজিলের হাল্ক’ নামেই। নিজের ৫৫ তম জন্মদিনেই মারা গেলেন তিনি। মৃত্যুর আগে ভালদিরের শ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর প্রতিবেশীরা। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকদের অনুমান, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এই বডিবিল্ডারের।
আমেরিকার চিত্রতারকা আর্নল্ড সোয়ার্ৎজেনেগার ও মার্ভেলের সুপারহিরো হাল্কই তাঁর অনুপ্রেরণা ছিল, এ কথা একাধিক বার জানিয়েছিলেন ভালদির। সেই লক্ষ্যে পেশির আকার বৃদ্ধি করতে ‘সিনথল’ ইঞ্জেকশন নিতে শুরু করেন তিনি। বাইসেপ, পেক্টোরাল ও পিঠের পেশিতে ক্রমাগত এই ইঞ্জেকশন নিতেন তিনি। নিজের বিশালাকার দেহের জন্য নেটমাধ্যমেও বেশ জনপ্রিয় ছিলেন ভালদির।
সিনথল ইঞ্জেকশনে সাধারণত বিশেষ ধরনের তেল, বেঞ্জাইল অ্যালকোহল ও লিডোকেইনের মতো উপাদান থাকে। এই ধরনের পদার্থ ক্রমাগত নিতে থাকলে স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি মারাত্মক ভাবে বেড়ে যেতে পারে, বেড়ে যেতে পারে ফুসফুস ও স্নায়ুর সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কাও। ভালদিরের পরিজনদের দাবি, বার বার সতর্ক করার পরেও ভালদির ইঞ্জেকশন নেওয়া ছাড়েননি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে ভালদিরের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে সাহায্য চেয়ে কাতর আর্তনাদ করছিলেন তিনি। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসক ডাকা হলেও বাঁচানো যায়নি ভালদিরকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy