মাদুরাইয়ের একটি রেস্তরাঁয় গ্রিলড চিকেন আর বিরিয়ানি খেয়ে গুরুতর অসুস্থ ৯ জন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ওই রেস্তরাঁয় যাঁরা গ্রিলড চিকেন খেয়েছিলেন, তাঁদের সকলেরই বমি, ডায়েরিয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯ জনের অবস্থা গুরুতর। হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। কী থেকে এমন হল তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণে এমন ঘটেছে কি না, সে নিয়েও সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
গত মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে। সূত্রের খবর, রেস্তরাঁটিতে যাঁরা গ্রিলড চিকেন, বারবি-কিউ-চিকেন, চিকেন বিরিয়ানি খেয়েছিলেন তাঁরাই অসুস্থ হয়েছেন। ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখার জন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশও।
গ্রিলড চিকেন বা কবাব খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। গত বছর নভেম্বর মাসে তেলঙ্গানার একটি রেস্তরাঁয় চিকেন খেয়ে পেটের সংক্রমণজনিত অসুখে মৃত্যু হয়েছিল বছর উনিশের একটি মেয়ের। অসুস্থ হয়েছিলেন আরও ১১ জন। একই রকম ঘটনা ঘটেছিল হায়দরাবাদেও। একটি রেস্তরাঁয় বারবি-কিউ-চিকেন খেয়ে বিষক্রিয়া হয়েছিল অনেকের। কর্নাটক ও তেলঙ্গানার খাদ্য সুরক্ষা দফতর এর পর রান্না করা খাবারে কৃত্রিম রং ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
আরও পড়ুন:
মাছ-মাংসের কবাব, চিকেন তন্দুর, গ্রিলড চিকেনে অনেক সময়েই কৃত্রিম রং মেশানো হয়। খাদ্যের গুণমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এফএসএসএআই)জানিয়েছে, খাবারে ব্যবহার করা কৃত্রিম রং পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তাতে ‘রোডামিন-বি’ নামক ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে। জলে দ্রবণীয় রাসায়নিক ‘রোডামিন-বি’ লিভারের জটিল অসুখের কারণ হতে পারে। এই রাসায়নিক ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ায়। তা ছাড়া এখন গিয়ান-ব্যারে সিনড্রোমের প্রকোপ বাড়ায় রাস্তার খাবার খেতে নিষেধই করছেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার এই বিষয়ে বলেন, গিয়ান-ব্যারের জন্য দায়ী ক্যাম্পাইলোব্যাক্টর জেজুনি বা নোরোভাইরাস বাসি খাবার, দূষিত জল, প্রক্রিয়াজাত খাবারে জন্মাতে পারে। অনেক রেস্তরাঁই বহু দিন ধরে মাছ বা মাংস সংরক্ষণ করে রাখে। তার জন্য রাসায়নিকের প্রয়োগও করে। আবার রান্নার সময়েও সেই খাবার টাটকা ও মুখরোচক দেখাতে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়। সে ক্ষেত্রে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। মাদুরাইয়ের ঘটনা কী থেকে হয়েছে তা নিশ্চিত ভাবে জানানো হয়নি, তবে সাবধান থাকারই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।