ডায়াবেটিকরা গাজর খেতে পারেন? ছবি: সংগৃহীত।
খুব মিষ্টি না হলেও মাটির তলার সব্জি গাজর। তাই ডায়াবিটিস রোগীরা সাধারণত এই সব্জি এড়িয়েই চলেন। পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ এই সব্জির পুষ্টিগুণ তো ফেলার নয়। চোখ থেকে চুল, ত্বক— সবই ভাল রাখে। হালুয়া না হোক, শীতে যদি স্বাস্থ্যকর স্যুপ খেতেও ইচ্ছে করে তার মধ্যেও তো গাজর থাকবে। স্যালাড খেলেও তাই। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, যে হেতু গাজরের মধ্যে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি তাই ডায়াবেটিকরা এই সব্জি খেতে ভয় পান। তবে কোন খাবারে কী পরিমাণ ক্যালোরি রয়েছে, তা বুঝে খেলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে
গাজরের রসের গ্লাইসেমিক সূচক বেশ কম। তাই পরিমিত পরিমাণে গাজরের রস পান করলে রক্তের শর্করার পরিমাণ খুব একটা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা নয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা টাইপ-২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত, তাঁদের শরীরে ভিটামিন বি-১ ও ভিটামিন বি-৬-এর ঘাটতি হয়। আর এর প্রভাব কিডনির উপরেও পড়ে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদেরও পরিমিত মাত্রায় গাজর খাওয়া ভাল। গাজরে থাকা ফাইবারও ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
চোখের যত্নে
চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গাজর ভীষণ উপকারী। গাজরে ভরপুর মাত্রায় বিটা ক্যারোটিন থাকে, যা চোখ ভাল রাখতে অত্যন্ত উপযোগী। গাজরে লুটেইন ও জিয়াক্সানথিন নামক ক্যারোটিনয়েড জাতীয় উপাদান থাকে, যা ক্ষতিকর আলোকরশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে। বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি কমাতেও গাজর রাখতে পারেন রোজের ডায়েটে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
গাজর খেলে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি শরীরে যায়। এই ভিটামিনগুলি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণসম্পন্ন। পাশাপাশি, গাজরে থাকে ভিটামিন বি৬, যা দেহে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষায়
ইদানীং অল্পবয়সিদের মধ্যে অনেকেই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হচ্ছেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রোজের ডায়েটে গাজর রাখা লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ত্বক ভাল রাখতে
গাজর কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। এই কোলাজেন ত্বক ভাল রাখে। পাশাপাশি, গাজরে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন থাকে, যা সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকে ত্বকের কোষগুলি রক্ষা করতে সহায়তা করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy