ছবি: সংগৃহীত।
এখন বলে নয়, বরাবরই জিমে যেতে আপত্তি। তা বলে শরীরে বাড়তি মেদ তো জমতে দেওয়া যায় না। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ফিটনেসও কমতে থাকে। তার জন্য শুধু হাঁটাহাটি করাও যথেষ্ট নয়। পুজোর সময়ে খুব যে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে ঠাকুর দেখতে ভালবাসেন না। তবে এই ক’টা দিন পুরনো বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ হয়। পুরনো স্মৃতি আর কে কতটা বদলে গেল— সেই নিয়ে দেদার হাসিঠাট্টা চলে। তবে প্রতি বার বন্ধুদের কাছে পেটের বাড়তি মেদ নিয়ে খোঁটা শুনতে ভাল লাগে না। তাই এ বছর অনলাইনে একটা মেদ ঝরানোর যন্ত্র কিনবেন বলে মনস্থ করেছেন। অনেকের কাছেই নানা রকম যন্ত্র কেনার পরামর্শ পেয়েছেন। তবে ছোট দু’কামরার ঘরে এত জায়গা নেই যে বড়সড় যন্ত্রপাতি রাখা যায়। সব দেখেশুনে ‘স্প্রিং টামি ট্রিমার’ কেনার কথা ভেবেছেন। এই যন্ত্রটি দিয়ে নিয়মিত কসরত করলে নাকি বাড়িতে বসেই কার্যসিদ্ধি হবে। সত্যিই কি তাই?
‘স্প্রিং টামি ট্রিমার’ দিয়ে ব্যায়াম করলে কী উপকার হবে?
১) পেটের পেশি মজবুত করতে সাহায্য করে এই যন্ত্রটি। শরীরের ভঙ্গি বা গঠন ঠিক রাখতেও সাহায্য করে এই ‘স্প্রিং টামি ট্রিমার’।
২) পেট, কোমরের মেদ ঝরানোই যদি লক্ষ্য হয়ে থাকে, তা হলে ‘স্প্রিং টামি ট্রিমার’ অব্যর্থ।
৩) এই যন্ত্রটিকে ব্যবহারকারী প্রয়োজন অনুযায়ী ছোট-বড় করে নিতে পারেন। তাই যে কোনও বয়সিরাই এটি ব্যবহার করতে পারেন।
৪) কোমর, পায়ের পেশির নমনীয়তা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই যন্ত্রটি।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন ‘স্প্রিং টামি ট্রিমার’?
১) প্রথমে হাত-পা ছড়িয়ে একটু স্ট্রেচ করে নিন। তার ফলে ব্যায়াম করার সময়ে পেশিতে টান বা চোট-আঘাত লাগার সম্ভাবনা কমে।
২) এ বার ম্যাটের উপর পা ছড়িয়ে টান টান হয়ে বসুন। যন্ত্রের তলার দিকে সাইকেলের প্যাডেলের মতো জায়গা থাকবে। সেখানে পায়ের পাতা রাখুন। পায়ের পাতা আটকানোর জন্য উপরে বেল্ট থাকবে। খেয়াল রাখতে হবে তা যেন পায়ের সঙ্গে শক্ত করে আটকানো থাকে।
৩) মাঝে স্প্রিংয়ের মতো অংশটিতে টান পড়লে তার দৈর্ঘ্য বেড়ে যাবে। আবার, ছেড়ে দিলে যন্ত্রটি ছোট হয়ে আসবে। টান দেওয়ার জন্য হাতল রয়েছে। দু’হাত দিয়ে তা শক্ত করে ধরে রাখতে হবে।
৪) এ বার কোমর, পিঠ টান টান করে হাতল টেনে এক বার পিছনে যাবেন। তার পর আবার সামনের দিকে আসবেন। দু’জন দুপ্রান্তে বসে অনেকটা দড়ি টানাটানি খেলার মতো। তবে এখানে এক জনকেই সেই কাজ করতে হবে।
৫) শরীরের পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকবে নিজের উপর। এই স্প্রিং টানাটানির মধ্যে পেটের পেশিকেও নিযুক্ত রাখতে হবে। এই ভাবে অন্তত ১০ বার অভ্যাস করতে হবে। চাইলে আরও বেশি বার এই ব্যায়াম করা যায়। তবে পুরোটাই শরীরের সুবিধা-অসুবিধা বুঝে।
অনলাইনে এই যন্ত্রটি কেনার আগে কী কী মাথায় রাখবেন?
১) ‘স্প্রিং টামি ট্রিমার’ কেনার আগে বুঝে নিতে হবে প্রয়োজনটা ঠিক কী রকম। মেদ ঝরাতে চাইলে এক রকম যন্ত্র আবার, পেটের পেশি টোন করতে চাইলে অন্য রকম।
২) প্লাস্টিক, স্টিল কিংবা ফাইবার— যে কোনও ধরনের যন্ত্র কিনতে পারেন। একটি বা দু’টি স্প্রিংয়ের টামি ট্রিমারও কিনতে পাওয়া যায়। স্টিলের স্প্রিং হলে মরচে ধরার ভয় থাকে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প হল ল্যাটেক্স স্প্রিং। এগুলি অনেক বেশি টেকসই।
৩) দেখে নিতে হবে যন্ত্রটি কতটা নমনীয় বা শরীরচর্চা করার জন্য তা কতটা উপযুক্ত। দেখে নিতে হবে পায়ের পাতা আটকানোর জন্য যে স্ট্র্যাপ রয়েছে, তা যেন প্রয়োজন অনুযায়ী বড় বা ছোট করা যায়।
৪) অনলাইনে এই যন্ত্রটি কেনার আগে ‘রিভিউ’ বা ‘রেকমেন্ডেশন’ দেখে নেওয়াও জরুরি। সে ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য ই-কমার্স সাইট থেকে যন্ত্রটি কিনবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy