Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Weight Loss Without Surgery

শরীরচর্চা বা ডায়েট করে লাভ হচ্ছে না? ছুরি-কাঁচি না চালিয়েও মেদ ঝরানোর কোনও উপায় আছে কি?

নতুন নতুন বিভিন্ন পদ্ধতির সাহায্যে কত কম সময়ে ওজন কমানো যায়, তা নিয়ে গবেষণা চলছে নিরন্তর। সেই থেকেই ‘লাইপোসাকশন’ পদ্ধতির জন্ম হয়। এ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি থেকেই যায়।

কাটা-ছেঁড়া না করেও মেদ ঝরবে।

কাটা-ছেঁড়া না করেও মেদ ঝরবে। ছবি- সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:১৫
Share: Save:

চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী ওজন কমাতে গেলে সেই শরীরচর্চা আর ডায়েটই ভরসা। এই পদ্ধতিতে অনেকেই ওজন ঝরিয়েছেন। আগে বেশির ভাগ মানুষের মধ্যেই এমন ধারণা ছিল যে, ‘বেশি খেলে বাড়ে মেদ’। কিন্তু যুগ বদলেছে, শরীরে মেদ জমার জন্য এখন শুধু খাওয়া দায়ী নয়। কারও জীবনযাপনে পরিবর্তনের জন্য মেদ জমতে শুরু করে, কারও বিশেষ কোনও ওষুধের প্রভাবেও মেদ জমে। ব্যক্তি বিশেষে দেহের বিভিন্ন অংশে মেদ জমার কারণ যেমন বদলেছে, তেমন ওজন ঝরানোর পদ্ধতিতেও বদল এসেছে।

নতুন নতুন বিভিন্ন পদ্ধতির সাহায্যে কত কম সময়ে ওজন কমানো যায়, তা নিয়ে গবেষণা চলছে নিরন্তর। সেই থেকেই ‘লাইপোসাকশন’ পদ্ধতির জন্ম হয়। এ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি থেকেই যায় এবং এই চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ খরচ সাপেক্ষ। এ ছাড়াও সংক্রমণের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তা হলে ছুরি-কাঁচি ছাড়া রোগা হওয়ার সহজ পন্থা কী?

ইদানীং ‘কসমেটিক’ চিকিৎসা পদ্ধতিতেও অনেক রকম পরিবর্তন এসেছে। মেদ বহুল অংশগুলিকে চিহ্নিত করে ‘কনট্যুরিং’ এবং ‘স্কাল্পচার’ পদ্ধতিতে সেখান থেকে চর্বি ঝরিয়ে ফেলা হয়।

কারা এই চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য যোগ্য?

যে কোনও বয়সের মানুষই এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। তবে যাঁদের ‘বিএমআই’ বা ‘বডি মাস ইনডেস্ক’ ৩০-এর মধ্যে, শুধুমাত্র তাঁরাই এই পদ্ধতিতে মেদ ঝরাতে পারবেন। অর্থাৎ, খুব বেশি স্থূল কেউ রোগা হওয়ার জন্য এই পদ্ধতি বেছে নিলে তাঁদের ওজনে খুব একটা পরিবর্তন না আসাই স্বাভাবিক। এ ছাড়াও, যদি দীর্ঘ দিন ধরে ওজন ঝরানোর জন্য বিশেষ কোনও রুটিন মেনে চললেও এই পদ্ধতি কাজ করবে না।

অস্ত্রোপচার ছাড়া কোন কোন পদ্ধতিতে মেদ ঝরানো যায়?

‘ক্রায়োলিপলিসিস’

মেদ জমেছে এমন জায়গাগুলিতে দেহের তাপমাত্রা কমিয়ে, অতিরিক্ত ঠান্ডা স্রোত প্রবেশ করিয়ে, চর্বি জমাট বাঁধানোর পদ্ধতি হল ‘ক্রায়োলিপলিসিস’।

ইঞ্জেকশন লাইপোলিসিস

যে জায়গার মেদ ঝরাতে চাইছেন, সেখানে বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়। পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ হতে ৩-৪টি সিটিং নিতে হয়।

‘এইচআইএফইউ’ এবং ‘রেডিয়োফ্রিকোয়েন্সি’

মূলত মুখের মেদ ঝরাতে, ওজন কমার পর চামড়া টান টান রাখতে অনেকেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন। বিশেষ একটি রশ্মির সাহায্যে বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলা হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Weight Loss
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy