গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
মহিলাদের ‘অশ্লীল ছবি’ তোলার অভিযোগে হুগলির কোন্নগর স্টেশন লাগোয়া সুপার মার্কেট থেকে গ্রেফতার হলেন এক ঝালমুড়ি বিক্রেতা। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনায় শোরগোল এলাকায়। ধৃত যুবক কোন্নগর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা সিপিএম নেতা বাসুদেব ইন্দ্রের পুত্র। অভিযোগ, ঝালমুড়ি বিক্রি করার ফাঁকে ফাঁকে তাঁর দোকানে যাওয়া মহিলাদের ‘অশ্লীল ছবি’ তুলতেন ওই যুবক। বৃহস্পতিবারও এমন একটি কাজ করেছিলেন। হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই যুবক নাকি বলেন, ‘‘মহিলাদের এমন ছবি তুলতে ভাল লাগে।’’ আর এ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ কোন্নগর সুপার মার্কেট এলাকায় তাঁর দিদির সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন এক মহিলা। সেই সময় মহিলার পিছনে দাঁড়ানো ঝালমুড়ি বিক্রেতা মোবাইল বার করে তাঁর ছবি তুলছিলেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই দোকানদারের কাছে যান মহিলার দিদি। তাঁরা মোবাইল দেখতে চাইলে অভিযুক্ত দুই মহিলার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। ব্যস্ত বাজারে লোক জমে যায়। পরে অভিযুক্তের মোবাইল পরীক্ষা করে বেশ কিছু ‘অশ্লীল ছবি’ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে কোন্নগর ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযোগকারিণী জানান, তাঁরা ওই বাজারে এলে প্রায়শই ওই দোকান থেকে ঝালমুড়ি কিনে খেতেন। বৃহস্পতিবারও ঝালমুড়ি কিনে দোকান থেকে খানিক এগিয়ে গিয়ে একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে খাচ্ছিলেন। ওই ঝালমুড়ি বিক্রেতা ছিলেন তাঁর পিছনে। মহিলার কথায়, ‘‘আমার দিদি বুঝতে পারে ওই দোকানদার আমার ছবি তুলছে। আমি যখন ওই বিক্রেতাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করি, তিনি বলেন, ‘মহিলাদের বিভিন্ন ছবি তুলতে আমার ভাল লাগে।’ আমার ছবিগুলো ডিলিট করব বলে আমি ওঁর হাত থেকে ফোন কেড়ে নিতে যাই। তখন ওই যুবক আমার হাত ধরে টানাটানি শুরু করেন। আমি ভয়ে চিৎকার শুরু করে দিই। তখন স্থানীয়েরা এসে ওঁকে ধরে পুলিশে খবর দেয়।’’
সংশ্লিষ্ট সুপার মার্কেটের দোকানদারেরা জানাচ্ছেন, অভিযুক্ত ওই যুবক আগেও এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তাঁকে বেশ কয়েক বার সাবধান করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সে সব কানে তোলেননি। এই ঘটনার নিন্দা করেছেন কোন্নগর পুরসভার পুরপ্রধান স্বপন দাস। অভিযুক্ত প্রাক্তন চেয়ারম্যানের পুত্র শোনার পর তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘মহিলাদের অসম্মান করে সিপিএম।’’ অন্য দিকে, সিপিএমের হুগলি জেলা কমিটির সদস্য অর্ণব দাসের দাবি, ধৃতের সঙ্গে তাঁদের দলের কোনও যোগ নেই। তিনি বলেন, ‘‘ওই যুবক আমাদের পার্টির কেউ নন। তাই এ বিষয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। যদি কেউ দোষ করে থাকেন, আইনত তাঁর শাস্তি হোক। ওঁর বাবা আমাদের দলের বর্ষীয়ান নেতা। কিন্তু ছেলের সঙ্গে সিপিএমের কোনও সম্পর্ক নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy